[দু চোখে দেখি নীল;নাম কি দিবো-স্বপ্নীল?]
এখনও ভাবছি…
লালাখাল কেনও নাম হলো।নীলাখাল কেনও হয়নি?
ভেবেছি তখনও।ভাবছি এখনও।তবে এ ভাবনার জবাব না পেলেও লালাখালের সৌন্দর্য যে মনোমুগ্ধকর তা এখনও অনুভব করতে পারছি।
অনেক নদী দেখেছি জীবনের এই পর্যন্ত।
নদী দেখার মধ্য অদ্ভুত একটা আনন্দ আছে।আর আনন্দটা পেতেই নদীর খোঁজে দেশের এ প্রান্ত ও প্রান্তে যখনই গিয়েছি নদীকে দেখেছি।আপন করেছি নদীকে নদীর বুকে গিয়ে!
[দূর থেকে বালুচর ও লালাখাল]
আর লালাখাল তো এমন সৌন্দর্যের রাণী যাকে সবাই ই আপণ করে নিতে বাধ্য।
নীল জলরাশির মায়া এমন আপনাকে ভুলাতে বাধ্য আপনি এই পৃথিবীতে আছেন।মনে হবে কোনো এক স্বপ্নপুরীতে আছেন।যেখানে আপনি নীলের রাজ্য থেকে নিজের মন ও চোখ জুড়াচ্ছেন
তো লালাখাল নিয়ে কিছু বলি।
লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার একটি পর্যটন স্থল।লালাখাল নামে ‘খাল’ শব্দটি বললেও নদীটির নাম মূলত “সারি গোয়াইন”।স্পেসিফিক বললে নদীটির নাম ‘সারি’ কারণ এটি মূল নদী গোয়াইন এর একটি শাখা।নদীর উৎপত্তি ভারতের কেননা ও চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে।
উইকিপিডিয়া ঘেঁটে কিছু তথ্য পেয়েছি যা খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে।বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা বাংলাদেশে এসেছিলেন এই নদী পথ ব্যবহার করেই
[পাহাড়ী পথ ও লালাখাল]
উইকি থেকে পড়ে নদীর পানি নীল হওয়ার কারণও জেনেছি।কারণটি ঠিক এমন— নদীর তলদেশ কাঁদা ও খনিজের পরিবর্তে অধিক বালুময় তাই পানি নীল দেখায়।
[লালাখালে নৌ-ভ্রমণ]
[লালাখালের পানির সৌন্দর্য ]
সে যাইহোক,
লালাখালে আমি গিয়েছিলাম বাংলাদেশের লোকাল গাইডের একটি মিটআপে।আর তখনই লালাখালের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ হয়।
সৌন্দর্য নিয়ে আরেকটু যদি এগোই তাহলে এই নদীর আরেকটি বিশেষ দিক হলো এটি পাহাড়ী নদী ও পানি গুলো বেশ ঠান্ডা ছিলো।হয়ত বরফ গলা পানি বলেই।
নদীর চারপাশে পাহাড়ে অনেক গাছপালা ছিলো।তবে বিশেষ ব্যাপার হলো এই নদীর চারপাশে অনেক ‘চা’ বাগান আছে।যা নিঃসন্দেহে বিশেষ।যারা প্রকৃতি ও নদী একই সাথে উপভোগ করতে চান আমার মত তাদের জন্য তো সোনায় সোহাগা
[লালাখালের পাড়ে পাহাড়ী চা বাগান]
শুধু যে উপভোগ এমন না।এই পোস্টের সাথে যুক্ত ড্রোন ফুটেজটিও লালাখালে কায়াকিং করার সময়।
কায়াকিং এর আগেও করেছি।কিন্তু লালাখালে বেশ ভালোই স্রোত।তাই বেশি দূর যাইনি আর পাশাপাশি সময়ের স্বল্পতাও ছিলো।তাই মূলত নুবের মত ড্রাইভ করেছি।
পিছনে ছিলো সিলেটী এক ভাই।ভাই সহ কায়াকিং করেছিলাম।উনি ভালোই ড্রাইভ করেছিলেন।
লিখে পুরোপুরি উপস্থাপন করা সম্ভব না লালাখালকে। লালাখাল লালাখালই।তবে কেনও যে নীলাখাল হলো না সেটা নিয়ে এখনও আমি কনফিউজড।
[ছবিগুলো মোবাইলে তুলা ও কোন প্রকার এডিট করা হয়নি।যেভাবে তুলা হয়েছে ঠিক সেভাবেই আপলোড করা হয়েছে]