বাংলাদেশ লোকাল গাইডের দেরশ তম মিটাপ ছিলো খাবারে ভরপুর, তবে রাতে স্পেশাল কিছু পিঠা আর সিলেটের স্থানীয় খাবার ছিলো মনে রাখার মত। তার মধ্যে কয়েকটি খাবারে বর্ননা তুলে ধরছি।
- পুলি পিঠা:
গরম গরম পুলি পিঠা এটা আমাদের দেশের শীতের পিঠার মধ্যে অন্যতম
যারা পিঠা বানিয়েছে তারা প্রফেশনালি কেটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে ফলে মনে করেছিলাম হয়ত সাধারন বাজারে কিনতে পাওয়া পিঠার মতই হবে, কিন্তু না
১ পিটা হাতে নিলাম আর মুখে ভরে যখন কামর দিলাম তখন এর ভিতরে থাকা নাড়েকেল আর খেজুর গুরের যে মিশ্রন মুখের লাগল তখন মুখ আমার ব্রেইন কে সিগ্নাল দিলো এটা সাধারণ পিঠা না রে ভাল করে দেখ, আমি অর্ধেক পিঠা মুখে চিবিয়ে গিলে ফেললাম আর বাকি অর্ধে হাতে নিয়ে ভাল করে দেখে গ্রাণ নিলাম একেবারে অরিজিনাল খেজুর গুর এর ফ্লেবার। পুরাটা খেয়ে মনে হচ্ছিল আহ এমন আরো ৫/৭ টা তো অনায়াসে খেয়ে নেয়া যেতো।
2. চিকেন রোল
চিকেন রোল সবার পরিচিত একটি খাবার কিন্তু এটা ছিলো স্পেশাল হোমমেইড যার ভিতরে কোন কিছুর কমতি ছিলো না ভিতরের পুরাটাই ছিলো চিকেনে ভরপুর কোন ফাকিবাজি হয়নি, মুখে নিয়ে কামর দেয়ার সাথে সাথে টের পাচ্ছিলাম এর ভিতরের চিকেনের উপস্থিতি কোন বাজে মশলার ফ্লেবার ছিলো না শুধুই চিকেনময় একটা খাওয়ার পর চিন্তা করছিলাম ইশ আরো ২/৩ টা চিকেন রোল যদি খেতে পারতাম
3. রঙ চা
চা এর জন্য এনাউন্সমেন্ট আসলো কে কে চিনি ছাড়া চা খাবেন, আমি হাত তুল্লাম কারন ভেবেছিলাম দুধ চা দিবে আর আমি দুধ চা চিনি ছাড়াই খাই কিন্তু দেখলাম রঙ চা নিয়ে আসা হয়েছে চিনি ছাড়া চা এর লিকারে কালার টা ছিলো পার্ফেক্ট আর অই সময় তাপমাতা ১৫° মত মানে এমন শীতে চা খেচতেই হবে চায়ে মশ্লার ফ্লেফার টা নাকে আসছিল চায়ে চুমুক দিয়ে খুভ একটা খারাপ লাগেনি কিন্তু চিনি ছাড়া কেমন কেমন লাগছিলো লজ্জায় ফেরত ও দিতে পারছি না কি করি? তখন গরম চা দ্রুত খেতে বাধ্য হইছি কারন ২য় রাউন্ডে চিনি দেয়া চা খেতেই হবে এত মজার চা ২ কাপ না খেয়ে উপায় নাই
৪. ডিনার প্লেটার
ডিনার প্লেটে ছিলো
- চিকেন বার-বি-কিউ
- পরোটা
- চুংগা পিঠা
- খিরসা
- সস
- সালাদ
চিকেন বার-বি-কিউ আমরা সব যায়গার করে খেতে পারি, তবে অনেকের অভিজ্ঞ না থাকায় ভাল করে পুরাতে পারেনে কিন্তু এটা ছিলো কর্রা করে কয়লার আগুনে পুরানো চিকেন ফলে হাড় সহ চিবিয়ে খাওয়া গেছে
পরটা নিয়ে বলার কিছুই নেই
চুংগা পিঠা
খিরসা
চুংগা পিঠা+খিরসা ডেজার্ট আইটেম, আমি এই চুংগা পিঠা আগে কখনো খাইনি তাই প্রথমে এমনি খেতে ছিলাম ফলে কোন স্বাদ পাচ্ছিলাম না পরে শুনলাম এটা খিরসা মিক্স করে খেতে হয়, ঘন দুধুর খিরসাতে বিন্নি চালের চুংগা পিঠা চুবিয়ে মুখে দিয়ে প্রতমে চুষন দিয়ে খিরসা টা খেয়ে দেখলাম অসাধারণ টেস্ট এর পর আবার চুংগা পিঠা ঘন দুধের খিরসায় চুবিয়ে মুখে নিয়ে না চুষে কামর দিলাম ফলে চিনিগুড়া চাউলের সেই ফ্রভার পেলাম, ব্রেইনে সিগ্নাল গেল হ্যা এটাই পার্ফেক্ট টেস্ট উইথ ফ্লেভার,
চুংগা পিঠা বানানো হয় বাশ দিয়ে, না বাশ রান্না না, প্রথমে চাউল আর পানি বাশের চুংগার ভিতর দিয়ে চুংগার মুখ বন্ধ করে সেই কাচা বাশ আগুনে দেয়া হয় এতে কাচা বাশ আগুনে পুরে যায় না কিন্তু ভেতরে থাকা চাউলটা স্ট্রীম হয়ে শেদ্য হয়ে যায়।
১৫০ তম মিটাপের সকল খাবার ছিলো অসাধারণ কিন্তু সেই রাতের সব গুলা খাবার মনে রাখার মত ছিলো।