অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো প্রিয় দ্বিচক্রযানটি চালিয়ে ইলিশ রাজ্য চাঁদপুর যাওয়ার।
সেই দিন ছিলো ২০১৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর। আমরা কয়েক জন কুমিল্লা সাইক্লিষ্টস মেম্বার চাঁদপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।আমরা গুগুল ম্যাপ ব্যবহার করপ দেখতে পারি কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর ৭২ কিলোমিটার। আসার যাওয়া মোট ১৪৪ কিলোমিটা। আমরা যে কোন রাইড প্লান করা হয় গুগল ম্যাপ সাহায্য। বিজয়ের মাস বিজয়ের আমেজ মেটাতে চাঁদপুর যাওয়া প্রিয় বাইসাইকেল নিয়ে । সেই সময় ছিলো শীতকাল। আকাশে অন্ধকার থাকতে থাকতে বাসা থেকে বাহির হয়ে গেলাম । পদুয়ার বাজার সবার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। সবাই আসার পর আমরা আমাদের গন্তব্য উদ্দেশ্য রাইড শুরু করি। শীতের সকাল রাস্তা চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা। আমরা মনের আনন্দে চালাতে থাকি। মাঝে মাঝে ছোট বিরতির মাঝে বিশ্রাম নেয়। হাঠাৎ করে গুগল ম্যাপ চালু করে দেখি। এইভাবে চালাতে চালাতে এক পর্যায়ে কখন যে আমারা প্রায় গন্তব্য কাছাকাছি চলে এসেছি । যত কাছাকাছি যাচ্ছি ততোই মনের আনন্দ বেড়ে যাচ্ছে ।
এক পার্যায়ে আমরা চাঁদপু শহরে ঢুকে পড়ি। শহরে ঢুকার পর পর দেখা মিলে চাঁদপুর পুলিশ সেখানে আমরা কিছু ছবি তুলি। সেখান থেকে আমাদের গন্তব্য আরো ৫ কিলোমিটার দূরে ছিলো চাঁদপুর বড় স্টেশন। আমরা চাঁদপুর পুলিশ লাইনস বিষয়গুলো গুলো ম্যাপে আপডেট করেছি।
পুলিশ লাইনস থেকে আবার রাইড শুরু করি। চাঁদপুর নাকি একটি নামকরা চা রয়েছে বাদাম চা স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি । আমরা বাদাম চা খেতে চলে গেলাম সকলে
বাদাম চা খেতে বেশ ভালো ছিলো। চা খেয়ে আমরা চলে যাই আমাদের গন্তব্য চাঁদপুর বড় স্টেশন।
অবশেষে আমার ইচ্ছেটি পূরণ হলো। যেখানে আমাদের জন্য চাঁদপুর রাইডারস এর দুইটি ভাই অপেক্ষা করতেছিলো। তাদের সাথে পরিচয় শেষ করি। আশপাশ ভালো করে দেখি। প্রচুর মানুষ ছিলো। বর্তমানে চাঁদপুর এই স্থানটি একটি বিখ্যাত পর্যটন জায়গা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। প্রচুর ভ্রমণকারী প্রতিদিন আসছে এই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
বড় স্টেশন প্রকৃতি উপভোগ করে আমরা চাঁদপুর নতুন আকর্ষনীয় স্থান মিনি ক্সসবাজার যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয় নৌকা দিয়ে ।
কিছু সময় নৌকা ভ্রমণ এর পর আমরা চলে যায় সেই চরে মানে মিনি ক্সসবাজার । সেখানে আমরা কিছু সময় আনন্দ করি।
চাঁদপুরের মিনি ক্সসবাজার ভ্রমণকারীদের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । তিন নদীর মোহনা স্থান চাঁদপুরকে বলা হয় । মিনি ক্সসবাজার সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে তুলে । মনে হচ্ছিল আকাশ আর নদী মিশে যাবে একসাথে ।মিনি ক্সসবাজার থেকে আমরা বড় স্টেশন ফিরে এসে দুপুর খাওয়া দাওয়া জন্য স্থানীয় একটি হোটেল যায়। চাঁদপুর গেছি আর ইলিশ খাবো না তা কি হয়। গরম গরম ইলিশ ভাজা আর ভর্তা দিয়ে নদীর পাশে বসে দুপুরের খাবার খাই। অসাধারণ ছিলো মূহুর্ত গুলো।
সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে। চলে যায় চাঁদপুর বিখ্যাত ওয়ান মিনিট আইসক্রিম খেতে। আইসক্রিমের স্বাদ ছিলো অসাধারণ।এটি চাঁদপুর বিখ্যাত আইসক্রিম।
আইসক্রিম খাওয়া শেষ করে। এইবার আমাদের ঘরে ফিরা সময়। সেখান থেকে আবার সাইক্লিং করে সন্ধার সময় সুস্থ মতে কুমিল্লা ফিরে আসি। ভ্রমণটি ছিলো অসাধারণ মনে রাখার মতো।
আমাদের দেশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে ভ্রমণের জন্য । যেগুলো দেখলে মন প্রাণ ভরে যায়।
আমরা প্রতিটি স্থানে যেতে গুগল ম্যাপ এর সাহায্য নিয়েছি। প্রতিটি জায়গার বিষয় বস্তু গুলো গুগুল ম্যাপ যুক্ত করি ছবি সহ। গুগল ম্যাপ থাকায় আমাদের যেকোনো স্থানে পৌঁছে যেতে অনেক সুবিধা হয়।