১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলে একটি গোপনসূত্রে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, শহীদদের স্মরণে হোস্টেল প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করা হবে। রাজশাহী মেডিকেল স্কুলের এস এম গাফফারকে সভাপতি এবং রাজশাহী কলেজের সিনিয়র ছাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোলাম আরিফ টিপুকে যুগ্ম-সম্পাদক করে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেদিন রাতেই ইট, কাঁদামাটি ও বাঁশ দিয়ে মুসলিম হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী হয়। পরেরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। তবে কয়েক ঘণ্টা পরেই পাকিস্তান সরকারের পুলিশ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটিকে ভেঙে ফেলে।
২০০৯ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সেই স্থানে একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেখানে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার
রাজশাহীতে অবস্থিত হওয়ায় রাজশাহীবাসী হিসেবে আমি গর্বিত।
@Ashraf_Siddik ভাই, আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি রাজশাহীর হয়ে গর্বিত আর আমারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পেরে গর্বিত। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। সকল শহীদদের প্রতি রইল সমবেদনা। আপনার সুন্দর লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি প্রথম উইকিপিডিয়াতে প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নামের একটা উইকিপিডিয়া পাতা যুক্ত করি এবং তথ্যসূত্র সমূহ সংগ্রহ করা শুরু করি। নিউজ রেফারেন্স, পুরাতন বই, গবেষনা সব ঘেঁটে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছিলাম উইকিপিডিয়ায়।
বেশ কয়েকজন দেখলাম মন্তব্য করেছেন ম্যাপের লিংক পাওয়া যাচ্ছেনা নাকি। আমি এখানে গুগল ম্যাপের লিংক দিয়ে দিলাম। রিভিউ লিখে আসতে পারেন।