সাগরকন্যা কুয়াকাটা
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলা পটুয়াখালী। পটুয়াখালীর সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত কুয়াকাটা।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সূর্যোদয়ের সময় মনে হয় বিরাট এক অগ্নিকুণ্ড আস্তে আস্তে সাগর ভেদ করে আসমানের উপরে দিকে উঠে যাচ্ছে। আবার সূর্যাস্তের সময় সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় সূর্য। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা “সাগর কন্যা” হিসেবে পরিচিত।
সূর্য উদয়ের মুহূর্তে
সূর্যাস্তের মুহূর্তে
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্ব দিকে গেলে আছে কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় কাঁকড়ার দ্বীপে।
হোটেল থেকে সাগরের দৃশ্য
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে রয়েছে প্রাচীন কুপ গুলোর মধ্যে একটি কুপ। তবে বারবার সংস্কারের কারণে এর প্রাচীন রূপটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তারা এখানে একটি কূপ খনন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি ‘কুয়াকাটা’ নামে পরিচিতি পায়।
এছাড়াও এখানে আছে মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, শুঁটকি পল্লী, কেরানীপাড়া রাখাইন পল্লী ইত্যাদি।
সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে
সাগরে ভাসমান নৌকা
মাছ ধরার প্রস্তুতি জেলের
রাতের মাছ বাজার। এখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়
রূপচাঁদা মাছ ভাজা
লাল কাঁকড়া। ছবি: সংগৃহীত
শুটকি পল্লী। ছবি: সংগৃহীত
ছবি: HTC Desire 630
তথ্য সূত্র: অনলাইন