"নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে
ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “জুতা আবিষ্কার” কবিতার মাধ্যমে আমরা জেনেছি জুতা বা পাদুকা আবিষ্কারের কাহিনী। আবার আমাদের দেশের বেকার যুবকদের চাকরি খুঁজতে খুঁজতে জুতা ক্ষয় হওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়ার গল্প অনেকের জীবনেই ঘটেছে। জুতা স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেলেই শুধু আমরা চর্মকার বা মুচি’কে খুঁজি। এই পেশা না থাকলে মেরামতের অভাবে আমরা কিন্তু এক জুতা পাঁচ-ছয় বছর পড়তে পারবো না, তবুও অন্যকে গালিগালাজ করতে চামার শব্দের সাথে না-ইনসাফি করি। চর্মকার বা মুচি এবং চামার কিন্তু এক জিনিস না। যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে তাদেরকে চামার বলে, আর যারা চামড়া বা পাদুকা মেরামত ও রঙ করে তাদেরকে বলে মুচি বা চর্মকার। আজকের ছবিটা সকল মুচি - চামারদেরকে উৎসর্গ করলাম। আমাদের উচিত সকল পেশার মানুষ ও তাদের পেশাকে সম্মান করা। ছবিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা মাদ্রাসা বাজার নামক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তোলা হয়েছে।