ক্রসকান্ট্রি রাইড ২০১৬
(চট্টগ্রাম টু মেহেরপুর ও সম্পুর্ন খুলনা
বিভাগ)
২য় দিন(২৩-০৭-২০১৬)
সকাল সকাল ফেরির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল।সকালের নাস্তা শেষ করে মানুষের
কাছে জিঙ্গেস করলাম বরিশালের লঞ্চ আসবে কখন সবাই বলতে লাগলো ১১ টায়
আসবে, আমাদের রোড প্লান অনুযায় ২য় দিন আমাদের থাকার কথা ছিল পিরোজপুরে,
কিন্তু লঞ্চ দেরিতে হওয়ার কারনে সেটা আর হবেনা ভেবে মাথায় চিন্তা চলে আসলো।
সব কিছু নিয়ে যখন হোটের থেকে বের হব তখনই দেখি ইমন ভাইয়ের চাকা লিক হয়ে
গেছে।সেটা ঠিক করতে করতে লঞ্চ চলে আসলো,আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবেই
লঞ্চে উঠলাম নিজেদের মালা মাল রেখে চলে গেলাম লঞ্চের উপরে অসাধারন ছির
তখনকার সময়টা।
নদিকে ভালো করে দেখার জন্য চলে গেলাম একে বারে সামনে যেখানে লঞ্চের
ক্যাপটিন থাকে সেখানে।ক্যাপটিন আমাদের কথা শুনে আমাদের কে তার পাশে থাকার
জন্য জায়গা করে দিল।
বাইরে প্রচুর বৃষ্টি মেঘনা তখন বৃষ্টিতে বিজে একাকার,জেলেরা মাছ ধরতেছে আর
আমাদের লঞ্চ ছুটে চলছে হাওয়ার গতিতে।মেঘনার পানি ঘোলা থাকার কারনে
ক্যাপটিন বুঝতে পারেনি যে সামনে চর আছে লঞ্চ বেজে গেলো চরে অনেক হ্মন পর
চর থেকে নামালো,কতদূর যেত না যেতেই আবার চরে,তখন তো আমাদের অবস্থা খুবই
খারাপ মনে মনে ভয় পেতে থাকি কিন্তু সেটা প্রকাশ করিনি।২ ঘন্টা লঞ্চ চলানোর
পর চলে গেলাম আমার জন্মভুমি ভোলা জেলার ইলিশা ঘাটে।(অসাধারন একটা জার্নি
ছিল সারা জীবন মনে রাখার মতো)
ওখান থেকে মানুষ নিয়ে লঞ্চ ছাড়লো বরিশালের উদ্দেশ্যে।বরিশাল পৌছালাম বিকাল
৪ টায়।বরিশাল সিটি থেকে বের হতে হতে রাত হয়ে গেছে সোজা চলে গেলাম
ঝালকাঠিতে।রাতে সাকের্ট হাউজে থাকার ব্যবস্থা করলাম,সেখানেই রাত কাটালাম।
পরের পর্ব শিগ্রই আসবে…











