ক্রসকান্ট্রি রাইড ২০১৬
(চট্টগ্রাম টু মেহেরপুর ও সম্পুর্ন খুলনা
বিভাগ)
তিনমাস রোড প্লান করাবো করবো করে
করা হচ্ছেনা,অবশেষে ১ঘন্টায় রোড প্লান
রেডি। আলহামদুল্লিহ আমি আর ইমন ভাই
প্রস্তুত প্রিয় সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমনে
বেরিয়ে পরার জন্য।
আমার পূর্বে তেমন কোন লং রাইডের অভিঙ্গতা ছিলনা।এই রাইডের আগে আমি
সর্বচ্চো ১২০ কিঃমিঃ সাইক্লিং করেছি।এই রাইডের আগে বিডির সাথে একটা রাইড
দিয়েছি যেটা ছিল বিডিসির ১০০ কিঃমিঃ রাইড(৫০+৫০) কক্সবাজার থেকে
শাপলাপুর।এই অভিঙ্গতা নিয়ে ইমন ভাইয়ের সাথে রাইড দিতে রাজি হয়ে যাই।
দিন ঘনিয়ে আসতে শুরু করলো,মনে মনে ভয়ও লাগতেছে পারবো কী না,এত্ত দিন
কেমনে বাইরে থাকবো ইত্যাদি ইত্যাদি।যাইহোক রাইড এর আর একদিন বাকি সব
কিছু গোছান শেষ।
সন্ধা হতেই ইমন ভাইয়াকে ফোন করলাম,জিঙ্গেস করলাম ভাই আপনার কী
অবস্থা,তারও নাকি সব কিছু রেডি।ইমন ভাই বল্লো সকালে যাতে উঠতে দেরি হয়
তাহলে রাইড শুরু করতে দেরি হবে তার থেকে ভাল হবে তার বাসায় রাতে থাকলে।চলে
গেলাম সব কিছু নিয়ে।মনের ভিতর এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করতেছে।সকালে যাতে
উঠতে দেরি না হয় তার জন্য তারাতাড়ি ঘুমিয়ে পরলাম দুজন।.
১ম দিন(২২-০৭-২০১৬)
রাইডের দিন সকালে ঘুম ভাংলো ৮টায়,তারাতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বেরিয়ে
পরলাম তখন সময় সকাল ৯টা ৩০মি. ঐ দিস ছিল শুক্রবার।শুরু হলো পেডেলিং করা
চালাতে থাকলাম।চালাতে চালাতে কোন বিরতি ছাড়া চলে গেলাম সিতাকুন্ড
বোটানিক্যাল গার্ডেন।ওখানে গিয়ে কলা আর বন খেয়ে দুজনে আবার পেডেলিং শুরু
কলাম।এক সময় পৌছে গেলাম ফেনী জেলার নদীর কাছে নদীর এপার চট্টগ্রাম আর
ঐপার ফেনী।
ঐ দিন শুক্রবার থাকায় দেখলাম জুমার নামাযের আর তেমন দেরি নাই ঐ ব্রিজের
ওখানে নামায আদায় করে নিলাম।নাময পড়ে আবার পেডেলিং
দুপুর তখন ২টা ৩০ হবে তখন পৌছালাম ফেনী মহিপাল। দুজনেই হ্মুদার্থ।দুপুরে ভাত
খেয়ে সামান্য বিরতি নিয়ে আবার পেডেলিং করতে করতে চলে গেলাম নোয়াখালির
চৌমুহনীতে আছরের নামাযে সময় হয়ে গেছে অনেক আগেই।একটা বাজারের মধ্যে
মসজিদ দেখে ধারালাম নামায আদায় করতে হঠাৎ দেখি গ্রামের কত গুলো মানুষ এসে
আমাদের কে ঘিরে ধরলো,আমরা কোথা থেকে আসছি, কোথায় যাবো,এখানে কেন
নামায পড়তে আসছি,আর কোথাও কি মসজিদ নাই,এখানে নাকি জংঙ্গিরা থাকে তাদের
সাথে নাকি দেখা করতে আসছি।
ততহ্মনে সন্ধা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা আমাদের কে ছাড়ছেনা,আমাদের ব্যাগ খুলে
চেক করলো।পরে কাগজ পত্র দেখালাম গ্রুপের নাম বল্লাম অনেক প্রমান দেওয়ার
পর ছাড়লো।ততহ্মনে সন্ধাহয়ে গেছে।এখন ২৫ কিঃমিঃ পর লহ্মীপুর সদর ওখান
থেকে ১০ কিঃমি লঞ্চ ঘাট।
আমার কাছে লাইট না থাকায় একটু অসুবিধা হচ্ছিল অবশেষে ৭ টায় লহ্মীপুর সদরে
পৌছালাম।নাস্তা না করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।হোটের থেকে বের হতেই দেখি
বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।কিছুতেই বৃষ্টি কমছে না,কিছু হ্মন পর হালকা হালকা বৃষ্টি
পড়তেছে দোকান থেকে বেরিয়ে পেডেলিং করতে করতে লহ্মীপুর লঞ্চ পৌছে
গেলাম।রুম বুকিং দিলাম (এক রুম দুই ব্যাট ৪০০ টাকা)।
ঐদিন আমরা মোট ১৮০ কিঃমিঃ সাইক্লিং করি।প্রথম দিন হওয়াতে একটু কষ্ট
হয়েছিল।সারা রাত ওখানেই কাটিয়ে দিলাম।
পরের পর্ব শিগ্রই আসবে…