সম্প্রতি আমি একটি রেল ভ্রমণ করি আজ তার বিস্তারিত লিখছি। ব্যস্ততম জিবন থেকে একটু মুক্তির জন্য নিজ গ্রামে যাওয়ার জন্য এই ভ্রমণটি।
আমি গত 25 অক্টোবর 2019 ট্রেনে ঢাকা থেকে জামালপুর ভ্রমণ করি। ট্রেনের নাম তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোটামুটি ভালো মানের একটি ট্রেন। এখানে ঢাকা থেকে 4:30 মিনিটে যাওয়া যায়।
শুরু: যথাবিহিত ভ্রমণের জন্য আমি 16 অক্টোবর অনলাইনে থেকে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করি।
অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট।
যথাবৃহিত যাত্রার সময় 07 30 মিনিটে ।আমি সকাল 07:00 এর মধ্যে ঢাকা স্টেশনে পৌঁছে গিয়ে ট্রেনের নির্ধারিত আসনে আসীন হওয়ার পর অপেক্ষায় থাকি ।
অন্য আরেকটি ট্রেনের বিলম্বের কারণে আমাদের ট্রেনটি যাত্রা শুরু করতে 11 মিনিট দেরি হয়ে যায়। ট্রেনটি 07:11 মিনিটে চলতে শুরু করল। পরের স্টপেজ ঢাকা বিমান বন্দরে।
ঢাকা বিমান বন্দরে আউটার 4 মিনিট বিরতি দিয়ে ট্রেনটি বিমান বন্দরে প্রবেশ করে সকাল 08 22 মিনিটে।
বিমান বন্দরে ছেড়ে যায় 0830 মিনিটে । পরের স্টপেজ জয়দেব পুর জংশন স্টেশন।
জয়দেব পুর জংশনে প্রিয় বন্ধুর রাইহান আদিল, মাজহারুল ইসলাম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। সকাল তখন 0858 বাজে।
তার পর ট্রেন চলতে শুরু করে। প্রকৃতির মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যায়। এ যেন সবুজের সমারোহ। বৃক্ষ তরুলতা বিভিন্ন ধরনের বাগান , ধান ক্ষেত যা দেখলে অনেক ভালো লাগবে।
সবুজের সমারোহ । তাল গাছ।
সবুজে ঘেরা একটি বসত বাড়ি।।
ক্ষেতে ধান ।। কৃষকের মনে হাসি। কিছুদিন পর এই ধান পাকিলে ঘরে তুলবে।
ট্রেনটি 3 ঘন্টায় পৌঁছে যায় ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন।
সকাল 11 24 মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে যাত্রা শুরু করে জামালপুরের উদ্দেশ্যে।
আবারো সবুজের মাঝে পথ চলা আপনার মন প্রাণ হারিয়ে যাবে সবুজের মাঝে।
ছবিতে : ময়মনসিংহ স্টেশন।
অবশেষে দুপুর 12:24 মিনিটে ট্রেনটি আমার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায় । আমরা নেমে যাই।
সবুজের মাঝে একটি মসজিদ ও মিনার দেখা যাচ্ছে। ছবি : বিমানবন্দর এলাকায় তোলা।
প্রকৌশ ল ভবন । ময়মনসিংহ জংশন।
জামালপুর জংশন স্টেশন।
এখান থেকে 10 কিলোমিটার দূরে আমার প্রিয় জন্মভূমি প্রিয় গ্রাম । সহজ সরল ও নির্মল প্রকৃতির মাঝে বসবাস। আমার গ্রাম নিয়ে সামনের দিনে লিখবো। আপনাদের উৎসাহ ও উপদেশ কামনা করছি। ভালো থাকবেন সবাই সব সময়।