৬০০ বছরের পুরনো লিপিঃ
চতুর্দশ শতকের প্রথম দশকে আরবি, কাইথি, বাংলা ও দেব নাগরী লিপির সংমিশ্রণে সিলেটি নাগরী লিপির উদ্ভব ঘটে। আরবি ও ফারসি ভাষার সঙ্গে সিলেটের স্থানীয় ভাষার সংমিশ্রণে যে মুসলমানি বাংলা ভাষার প্রচলন হয়, তার বাহন হিসেবে এই লিপি ব্যবহৃত হতো। সিলেটের সে সময়কার মুসলমান লেখকরা বাংলার পরিবর্তে এই লিপিতেই ধর্মীয় বিষয়গুলো চর্চায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। জানা যায়, হযরত শাহ জালাল (রহ.)-এর সমসাময়িক মুসলমান ধর্মপ্রচারকরাও নাকি এই লিপিতে ধর্মমত লিখতেন। অধ্যাপক আহমদ হাসান দানীর মতে, সিলেটে মুসলমান শাসনের শুরু থেকেই সিলেটি নাগরীর ব্যবহার চলে আসছে এবং আফগান মুদ্রায় এ লিপিমালার কয়েকটি লিপির ব্যবহার আছে। সিলেটি নাগরী ‘জালালাবাদী নাগরী’, ‘মুসলমানি নাগরী’ বা ‘ফুল নাগরী’ নামেও পরিচিত।
একসময় প্রধানত সিলেট অঞ্চলে এটি প্রচলিত ছিল। তবে সিলেটের বাইরে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা এবং আসামের কাছার ও করিমগঞ্জেও এর ব্যবহার হতো।
নাগরিলিপির ঐতিহ্য রক্ষায় ‘নাগরি চত্বর’:
‘সিলেটি নাগরিলিপি’কে তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত করা এবং পর্যটকদের কাছে নাগরিলিপির ঐতিহ্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যে নগরের সুরমা পয়েন্টে ‘নাগরি চত্বর’ নির্মাণ হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে নির্মিতব্য এ চত্বরের একটি সম্ভাব্য নকশাও তৈরি করেছেন সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাজন দাশ।
নাগরি লিপির প্রথম এন্ড্রয়েড কি-বোর্ড ডেভলাপ করেছি আমি @SabbirShawon এবং আমার বন্ধু নুরুল ইসলাম।
কি-বোর্ড লিংকঃ Syloti Nagri Keyboard