বাংলাদেশ লোকাল গাইডস এর ১১৬ তম মিটআপ মাওয়াঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মিটআপে প্রায় ১৩ জন লোকাল গাইড অংশগ্রহণ করে।
এই মিটআপের মূল আকর্ষন ছিলো মাওয়া ঘাটে পদ্মার ইলিশ দিয়ে লাঞ্চ করা এবং পদ্মা রিসোর্টে ঘুরা ।।
এই মিটআপে আমি শরীয়তপুর জেলা থেকে অংশগ্রহণ করি। আমার বাসা থেকে প্রায় ৩৭ কিঃ মিঃ দূরে ছিলো মিটআপ ভ্যানু। যেটি আমি ২৫ কিঃ মিঃ বাইকে এবং ১২ কিঃ মিঃ লঞ্চে ভ্রমন করে মিটআপে আসি ।।
মিটআপে আমি সকাল ১১টা ৩০মিনিটে আসি, আসার পরে সবার সাথে কুশল বিনিময় হয়। এরপরে সিমু আপু আমাদের চকলেট দেয়, সেই সাথে আমরা একটি ফটোওয়াক করে ফেলি, নতুন প্লেস এড ও মিসিং ইনফর্মেশন এড করি ।।
সবাই আসার পরে আমার ইলিশ মাছ দিয়ে লাঞ্চ করার জন্য দোকানে যাই, সেখানে ৩টি বড় পদ্মার ইলিশ মাছ নেয়া হয়।।
ইলিশ মাছ রান্না হতে হতে আমার ম্যাপ নিয়ে সকল সমস্যা আলোচনা করি, কিভাবে ম্যাপে কন্ট্রিবিউট করতে হবে, রিভিও লেখার সময় কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে, একটি নতুন প্লেস কিভাবে এড করলে তারাতারি পাবলিশ হবে এবং আগামি দিনের কার্যবলি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এর মধ্যে আমাদের খাবার চলে আসে। আমরা পদ্মার তাজা ইলিশ মাছে, বেগুন ভাজা, মাছের ভর্তা দিয়ে দিয়ে আমরা লাঞ্চ করি।
পদ্মার তাজা ইলিশ মাছটা খেতে অনেক সুস্বাদু লেগেছে কারন এই পদ্মার ইলিশ পুরো দেশ জুরে বিখ্যাত। (পদ্মার ইলিশ নিয়ে পরবর্তিতে একটি পোষ্ট দিবো)
দুপুরে ইলিশ মাছ দিয়ে লাঞ্চ করে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে আমরা পদ্ম রিসোর্টে ঘুরতে যাই।
পদ্মা রিসোর্টে আমরা লেগুনা দিয়ে যাই এরপর ট্রলার দিয়ে নদী পার হয়ে পদ্মা রিসোর্টে যাই।
সেখানে আমরা একটি ফটোওয়াক করি, এবং নিজেদের অনেক ছবি তুলি, অনেক ফান করি।
সত্যি সেখানে অনেক সময় টা ভালো কেটেছিল। এরপর ঘুরতে করতে পাঁচটা বেজে যায়। তখন আমরা বাসায় ব্যাক করার জন্য রওনা দেই। মাওয়া ঘাট থেকে সবাইকে বিদায় দিয়ে আমি আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
বাসায় আসার সময় পদ্মা নদী থেকে সূর্যাস্ত খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছিল। পদ্মা সেতুর পিলার গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমার জীবনের স্বরনীয় একটি দিন হয়ে থাকবে এই মিটআপটি।
ধন্যবাদ বাংলাদেশ লোকাল গাইডস টিমকে এমন সুন্দর একটি মিটআপ আয়োজন করার জন্য।