দোহার উপজেলার মৈনট ঘাট কে ডাকা হয় মিনি কক্সবাজার নামে। ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে সোজা একটি রাস্তা এসে মিলেছে দোহারের মৈনট ঘাটে। আমি নিজের ভ্রমন শেষে মৈনট ঘাটের ভালো এবং খারাপ দুটি দিক সম্পর্কে বলবো। খারাপ দিয়ে শুরু করি…
প্রথমে শুনলাম ঢাকা থেকে খুব কাছেই মৈনটঘাট, কিন্তু এটি মোটেও কাছে ছিল না। ঢাকা থেকে সেখানে পৌছতে প্রায় ৩ ঘন্টার মতো সময় লেগেছে ।যাওয়ার রাস্তা তেমন একটা সুবিধার ছিল না। ঘাটের আশে পাশে ময়লা ফেলে একদম নোংরা করে ফেলেছে আপনার আমার মতো ঘুরতে আসা কিছু মানুষ। সেখানে কিছু খাবার হোটেল রয়েছে একদম নদীর পাড় ঘেঁসে। যা আরো কিছুটা দূরে দেয়া যেত। ঘাটে গিয়েই পাশের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার অর্ডার করে রেখেছিলাম। দৌড়ঝাঁপ এবং কিছুক্ষন পানিতে ডুবাডুবির পর প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়েছিল। সেখানে দুপুরের খাবারের মেন্যুতে ছিল ইলিশ মাছ , বেগুন ভাজা এবং ডাল। তবে খাবার তেমন ভালো ছিল না ।
পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন টয়লেটের তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই আশেপাশে। অজানতেই আর ভালো দিক গুলোর মধ্যে রয়েছে… জায়গাটা গ্রামের মধ্যেই। তাই আপনি একটা গ্রাম্য পরিবেশ পাবেন। পাশেই রয়েছে ফসলের ক্ষেত। সবুজময় প্রকৃতি আপনার প্রাণ কেড়ে নেবে মনের অজান্তেই। আমি গিয়ে গম ক্ষেত দেখতে পেয়েছিলাম।
পাশে ছোট্ট একটা মাঠের মতো রয়েছে , সেখানে চাইলে ফুটবল-ক্রিকেট খেলতে পারবেন। গোসল করার জন্য রয়েছে সেই রকম সুন্দর জায়গা। বিকেলটা ছিল আরো সুন্দর। একটা নৌকা নিয়ে নদীর মাঝে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন যা সারা জিবন মনে থাকবে আপনার ।
নদীর একটু ভেতর দিকে গেলে একটা চর দেখতে পাবেন , চাইলে ঐখানে নেমে হেঁটে আসতে পারেন। সবশেষে বলবো প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে এমন কোন কাজ করবেন না যেটা আরেকজন সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ এসে দেখে কষ্ট পায়।