আজ আমার প্রিয় জন্মভূমি লক্ষীপুর জেলার জন্মদিন। আজ আমি এখানে শেয়ার করব আমার জেলার বিস্তারিত তথ্য এবং দর্শনীয় এলাকাসমূহ সম্পর্কে।
১৯৮৪ সালের আজকের এই দিনে নোয়াখালী জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় রূপান্তরিত হয়।
রাজা লক্ষী নারায়নের নাম অনুসারে এ জেলার নাম করা হয়। এ জেলার আয়তন ১৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার।
লক্ষীপুর জেলার উত্তরে চাঁদপুর, দক্ষিণে নোয়াখালী, পূর্বে নোয়াখালী, পশ্চিমে ভোলা ও বরিশাল।
এই জেলা পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও রামগতি।
মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী ঘিরে আমাদের প্রিয় লক্ষ্মীপুর জেলা।
এ জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহ হচ্ছে, কাঞ্চনপুর দরগা, হরিশ্চর দরগা, খোয়া সাগর দীঘি, শ্রীরামপুর রাজবাড়ী, ওই ধারা দিঘী, শ্রী গোবিন্দ মহাপ্রভু জেও আখ্রা, সাহাপুর নীলকুঠি বাড়ি, রামগতির রানী ভবানী কামদা মাঠ, শহরের তিতা খাঁ জামে মসজিদ, মজুপুর মটকা মসজিদ, আব্দুল্লাহ পুর জামে মসজিদ, দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, রায়পুর জিনের মসজিদ।
লক্ষীপুর জেলার মানুষ সর্বদা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে প্রচণ্ড পরিশ্রম করে।
দক্ষিণাঞ্চলের আমরা প্রিয় লক্ষ্মীপুর নারিকেল সুপারি জন্য প্রসিদ্ধ হলেও গত কয়েক বছর ধরে ঘটে গেছে নীরব সয়াবিন বিপ্লব। দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের প্রায় ৮০ ভাগ কি উৎপন্ন হয়ে থাকে এ অঞ্চলে। দেশের শীর্ষে সয়াবিন উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে ইতিমধ্যে একটি তালিকা প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রামগতি একটি উপযুক্ত স্থান। এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য খুবই মনোরম। রামগতি ভ্রমণের সময় পর্যটকেরা সেখানকার মহিষের দুধ তৈরি ঐতিহ্যবাহী দই কে প্রাধান্য দেয়। এখানে কুয়াকাটার মত সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। রংবে রঙ্গের পালতোলা নৌকার সারি পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। বন বিভাগের বিশাল বনায়ন কেয়া বনের সবুজ বেষ্টনী ও নজরে আসবে।
মজু চৌধুরী ঘাট এলাকা রায়পুর থেকে রামগতি সংলগ্ন মেঘনা নদীর ইলিশ মাছ ধরার জন্য বিখ্যাত। সরাসরি রুপালি ইলিশ আহরণ রংবেরঙ্গের পালের নৌকা মেঘনার সুনীল জল বালি।
আমার প্রিয় জেলা লক্ষীপুর নিয়ে বললে খুব সহজেই শেষ করতে পারবো না। তাই তেমন কিছুই আর লিখব না। ভালো থাকুক আমার প্রিয় লক্ষ্মীপুর ভালো থাকুক লক্ষীপুরের মানুষগুলো।
ভ্রমণপিপাসুদের আমন্ত্রণ রইল আমার প্রিয় লক্ষ্মীপুর জেলায়, এখানে এসে আমাদের জেলার সৌন্দর্য উপভোগ এবং রূপালী ইলিশ খাওয়া এবং যাবতীয় দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমণের আমন্ত্রণ রইল।