বাংলাদেশের বেকারি নাম তার “ প্রিন্স অব ওয়েলস ” The name of the bakery is "Prince of Wales "

ছোট্ট বেলা থেকে বেকারি পন্যের মধ্যে দুটো খাবার এখনো আমার দেখলে জিবে জল আসে , এর একটি বাটারবান অন্যটি ক্রিম রোল । ইদানিং খেয়াল করছি , আমার দু- মেয়ের কাছে ও খাবার দুটো পছন্দ হতে শুরু করছে । বলছিলাম বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো বেকারির কথা , যার নাম ”প্রিন্স অব ওয়েলস ”। নাম দেখেই অনেকে হয়তো বুঝে ফেলেছেন ।

বাঙ্গালীদের খাবার প্লেটে ক্রিম রোল, কেক কিংবা প্রেষ্টি – সেন্ডউইচের মতো খাবার পরিচয় ছিলোনা । আদোতে ব্রিটিশদের হাত ধরেই উপরে বর্ণিত খাবারের সাথে আমরা পরিচিতি লাভকরি। উইকি থেকে পড়ে জানতে পারলাম ১৮৫০ সালে গ্রেট ব্রিটেনের ওয়েলসের থেকে একজন ভদ্রলোক কিংবা ভদ্র মহিলা তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশে এসে এই বেকারির ব্যবসা শূরু করেন ( ”প্রিন্স অব ওয়েলস) এবং ভারত বিভাজনের পূর্বেই ব্রিটেন ফিরে যান । যাবার পূর্বে বর্তমান মালিকের দাদা/বাবার কাছে বিক্রি করে যান । তবে তিনি আর নাম পরিবর্তন করেন নি । লোকমুখে শোনা , “প্রিন্স অব ওয়েলস “ বেকারি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচিন বেকারি এবং সেই সাথে অতি পুরোনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ।

অনেক তো হলো পরিচয় পর্ব , এবার আসি খাবারের বিশেষত্বে ! আসোলে সময়ের সাথে সাথে স্বাদের ও তারতম্য ঘটৈ । তবে ঐতিহ্যের একটা ব্যাপার আছে । “প্রিন্স অব ওয়েলস “ ডিসেম্বর মাস আসলেই ক্রিসমাস কেক নামে এক ধরনের স্লাইস কেক তৈরী করে , যার স্বাদ একটু অন্য রকম । সমচেয়ে মজার কথা হলো এই ক্রিসমাস কেকের তৈরীর সময়কাল মাত্র দু-মাস , অর্থাৎ ডিসেম্বর-জানুয়ারি । বছরের অন্য সময় এই কেক নিতে চাইলেও তৈরী করে দেন না । এছাড়া তাদের ক্রিমরোল এখোনো অনেক স্বাদ এবং সেই সাথে দাম ও অনেক কম ( মাত্র ২০ টাকা) । এছাড়া চিজ কেক , প্লেন কেক , পেটিজ , পাওরুটি সহ বিভিন্ন বেকারি পন্য সারা বছর পাওয়া যায় ।

যাতায়াত : রাজধানী ঢাকার সদরঘাঁটের কাছে , বাহদুরশাহ পার্ক হয়ে লক্ষিবাজার রোডের সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের পাশেই ।

কৃতজ্ঞতা : উইকি , নিয়াজ ভাই

#Niloy_Pahari #MMI

13 Likes