বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে রয়েছে একেক রকম পিঠা। আর এই পিঠার মধ্যেও রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। আবার একই পিঠা একেক এলাকায় একেক নামে পরিচিত।
তেমনি একটুি পরিচিত পিঠা হচ্ছে চিতই পিঠা। এই পিঠার আকৃত হলো গোল। চালের গুঁড়া দিয়ে এই পিঠা বানাতে হয়।
চালের গুঁড়া পানিতে গুলিয়ে মাটির হাঁড়িতে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। অতি সাধারণ এই পিঠাটি গুড়, ঝাল শুঁটকি ভর্তা, ধনে পাতা ভর্তা, সরিষা ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই মজা।
এই চিতই পিঠাকেই সারা রাত দুধে বা গুড়ের রসে ভিজিয়ে তৈরি দুধ চিতই বা রস পিঠা।
প্রথমেই চালের গুঁড়া, লবণ আর পানির মিশ্রণ তৈরি করতে হয়। মাটির খোলা চুলায় দিয়ে গরম করে নিতে হয়। এবার খোলায় কিছু তেল মাখিয়ে নিতে হবে। এবার এক চামচ তরল মিশ্রণ নিয়ে খোলায় ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঢাকনার উপড় খুব সামান্য পানির ছিটা দিতে হবে। ৪ থেকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করে পিঠা তুলে ফেলতে হয়। এই পিঠা গুড় বা, খেজুরের রস দিয়ে খেতে বেশ মজা।
শীতের সময়ে গ্রামে/শহরে রাস্তার পাশে টং দোকানে এই পিঠা বেশি পাওয়া যায়।। ভাপা পিঠা, পাটিশাপটা পিঠাও খেতে অনেক মজা.। এই পিঠা গুলো প্রতিপিস ৫/১০টাকা করে বিক্রি করা হয়।