করোনাকালীন সময়ে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এই ক্ষুদ্র ব্যবসা গুলো আবার ঘুরে দাঁড়াতে চেস্টা করতেছে এবং অনেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতেছে। আমাদের এই পোস্টটি তেমনি একটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান নিয়ে, যেটির নাম বাঁশের কুটির রেস্তুরাঁ।
আমি ও আমার কয়েকজন ক্লাসমেট মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম এই রেস্তুরায়, যদিও এটি এখনো পুরোপুরিভাবে চালু হয়নি। এই মাসের শেষের দিকে পুরোদমে যাত্রা শুরু করবে, কিন্তু আমাদের ভ্রমণপিপাসু মন এতদিন অপেক্ষা করতে রাজি নয়, তাই অবশেষে ঘুরে চল্র আসলাম রেস্তুরাঁটি।
অবস্থানঃ বাঁশের কুটির রেস্তোরাঁটি গাজীপুর জেলার বরমী- শ্রীপুর রোডের পাশে সোনাগর নামক জায়গায় অবস্তিত, শ্রীপুর চৌরাস্তা থেকে এর দূরত্ব ২ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট। সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত খোলা থাকে রেস্তোরাঁটি।
সম্পূর্ণ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে পুরো রেস্তোরাঁটি তৈরি, টিস্যু রাখার বক্স, ছাইধানী সবই বাঁশ দিয়ে তৈরি। প্রচুর আলো বাতাস ঢোকে কুটিরগুলোর ভেতরে। প্রাকৃতিক একটা অনুভূতি পাওয়া যায়। ভেতরের অংশ বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সাজানো গোছানো।
প্রতিটা কুটিরেই আলাদা আলাদা ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ডিজাইনগুলো পুরোটাই ইউনিক।
রেস্তোরাঁটিতে এখনো তেমন বেশি আইটেম এর খাবার তৈরি করা হয় না, যখন পুরোপুরি চালু হবে তখন হয়তো আইটেম আরো বাড়বে। এখন যে খাবার গুলো তৈরি করা হয় তার দাম ও সীমিত, এবং খাবারের মান ও মোটামুটি ভালো।
খাবারের মান দামের তুলনায় বেশ ভালো, ওয়েটার সহ রেস্তোরাঁ কতৃপক্ষের ব্যবহার ও খুব আন্তরিক। এখানে খাওয়া দাওয়ার পর অনলাইন পেমেন্ট হিসাবে বিকাশে পেমেন্ট করার ব্যবস্থা রয়েছে।
হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের প্রবেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা না থাকলেও একটু কস্ট করে প্রবেশ করতে পারবেন।
রেস্তোরাঁটিতে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক নয়।
গুগল ম্যাপ্স এ রেস্তোরাঁটির লোকেশনের লিংকঃ বাঁশের কুটির রেস্তোরাঁ
এতক্ষন সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
#SupportSmallBusiness