বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ী, যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমধিক খ্যাত। শহরের কেন্দ্রস্থলে, ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরে, এই রাজবাড়ী অবস্থিত।
মূল গেইট
শশী লজের মূল ভবনের সামনে একটি চমৎকার বাগান রয়েছে।
বাগানের কিছু অংশ
বাগানের মাঝখানে শ্বেতপাথরের ফোয়ারার সাথে গ্রিক দেবী ভেনাসের এক মর্মর মূর্তি স্থান পেয়েছে।
১৮ টি বিশাল কক্ষের মূল ভবনের পেছনে আছে দোতলা স্নানঘর, পুকুর ও মার্বেল পাথরে নির্মিত ঘাট।
ভবন
দোতলা স্নানঘর
১৯৫২ সালে শশী লজে মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে বাড়িটির মূল ভবন অধ্যক্ষের কার্যালয় এবং দপ্তর হিসেবে করা হতো। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শশী লজটি অধিগ্রহণ করে।
প্রমাণ চিত্র
কীভাবে যাবেনঃ
সড়ক ও রেলপথ দুই মাধ্যমেই ভ্রমণে যেতে পারেন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে। বাস থেকে নামবেন মাসাকান্দা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অটোতে বা রিকশায় চলে যেতে পারবেন শশীলজ বা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে।
কোথায় থাকবেনঃ
থাকার দরকার পড়ে না। দিনে গিয়ে দিনেই আসা যায়। তবু্ও
ময়মনসিংহ শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল থেকে আপনার জন্য ভাল হোটেল বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া ভরসা করতে পারেন ময়মনসিংহের আমির ইন্টারন্যাশনাল অথবা হোটেল মুস্তাফিজ এর উপর।
কোথায় খাবেনঃ
ময়মনসিংহ শহরে প্রেসক্লাব ক্যান্টিনের মোরগ পোলাওয়ের স্বাধ চেখে দেখতে পারেন। এছাড়া ভাল মানের খাবারের জন্য হোটেল ধানসিঁড়ি ও হোটেল সারিন্দার বেশ সুনাম রয়েছে।
শহরের যানবাহন: শহরের মধ্যে চলাচলের জন্য রয়েছে রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটো, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। শহরে রিকশা ও অটো একটু বেশি থাকায় যানজট একটু বেশি।
ময়মনসিংহ শহরে প্রেসক্লাব ক্যান্টিনের মোরগ পোলাওয়ের স্বাধ চেখে দেখতে পারেন। এছাড়া ভাল মানের খাবারের জন্য হোটেল ধানসিঁড়ি ও হোটেল সারিন্দার বেশ সুনাম রয়েছে।