বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট গুলির যদি লিস্ট করা হয় তবে সেন্টমার্টিন সেই লিস্ট এর টপ ৫ এর একটি।
সেন্টমারর্টিন মুল ভূখণ্ড থেকে আলাদা একটি প্রবাল দ্বীপ তাই এখানে যাতায়াত এর একমাত্র গনপরিবহন নৌরোড, আবহাওয়ার
কারনে এই রোড এর ২ টি সিজেন ধরা হয়
- অন সিজেন
- অফ সিজেন
- অন সিজেনে নিয়মিত বড় জাহাজ এবং ইঞ্জিন নৌকা বা ট্রলার চলাচল করে (নভেম্বর থেকে মার্চ)
- অফ সিজেনে কোন জাহাজ চলে না শুধু ১/২ টি ইঞ্জিন নৌকা বা ট্রলার চলে তাও সব দিন না (এপ্রিল থেকে অক্টোবর)
আমার এবারের গল্প অফ সিজেনের সেন্টমার্টিন নিয়ে
আমার যাত্রা শুরু হয় কক্সবাজার থেকে , সকালে ঘুম থেকে উঠে যেতে হবে টেকনাফে , টেকনাফ হইলো কক্সবাজার জেলার সর্ব দক্ষিন এর উপজেলা, আর সেন্টমার্টিন টা এই উপজেলার একটা ইউনিয়ন আর অফ সিজেনে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার ট্রলার ছাড়ে এই টেকনাফ ট্রলার ঘাট থেকে।
কক্সবাজার থেকে সকালে সি এন জি চালিত অটো রিক্সায় করে মেরিন ড্রাইভ ধরে সকাল ৯ টার মধ্যে পৌছে গেলাম টেকনাফ ঘাটে ।
ঘাট থেকে সকাল ১০ঃ৩০ এ ট্রলার ছাড়বে।
ট্রলারে করে প্রায় ৩ ঘন্টা লাগবে আমার সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে , এই ট্রলার গুলা মুলত পন্য পরিবহন এর জন্য, যাত্রি পরিবহন এর উপযোগী না
ফলে এখানে বসার কোন চেয়ার থাকে না , স্থানীয় লোকজন এবং অল্প কয়েক জন টুরিস্ট নিয়ে ছাড়লো ট্রলার ।
অফ সিজেনে সেন্টমার্টিন ভ্রমন এর সবচেয়ে এডভেঞ্চার পার্ট এই ট্রলারে করে যাওয়া , ১ম ট্রলার প্রায় অর্ধেকটা পথ নাফ নদীতে করে যায় বাকি অর্ধেক সাগরে , যখন মোহনায় মানে নদী সাগরের মিলন স্থানে পৌছে তখন ঢেউ গুলা অনেক বড় হয় এবং নৌকা অনেক দোল খায় তবে এই নৌকা গুলা এমন ভাবে বানানো যেন বড় ঢেউ আসলে সে ভাল ভাবে চলতে পারে ।
অফ সিজেনটা এপ্রিল থেকে অক্টবর হওয়াতে এই সময় বৃষ্টি এর চেয়ে গরম বেশী থাকে মেঘলা আকাশের রোদ থাকলেও ভ্যাপসা গরম বেশী অনুভুত হয় ।
তাই সাথে ছাতা রাখা বেশী জরুরি, ডিহাইড্রেশন এরাতে অবশ্যই খাবার পানি খেতে হয় বেশী ।
নৌকায় করে নদী পথ আর কিছুটা সমুদ্র পথ উপভুগ করতে করতে পৌছে গেলাম সেন্টমার্টিন দ্বীপে ,
- টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের বর্তমান নৌকা ভাড়া ৩২০ টাকা জন প্রতি।
- কক্সবাজার থেকে টেকনাফ এর ভাড়া সি এন জি তে জন প্রতি ২৫০ টাকা।
- কক্সবাজার থেকে বাসে করে আসা যায় টেকনাফ ভাড়া ১৫০-২০০ টাক।
এর পরের পার্টে আমি জানাবো অফ সিজেনে কেমন ছিলো দ্বীপে থাকা এবং ঘুরাঘুরি