আমার এই সিরিজের আগের পর্ব গুলোর লিংক-
My-Honeymoon-diary- part 1 My-Honeymoon-diary- part 2
My-Honeymoon-diary- part 3 My-Honeymoon-diary- part 4
My-Honeymoon-diary- part 5
ত্খৃতীয় দিন খুব ভোরেই বের হয়ে গেলাম শান্ত স্নিগ্ধ সেন্টমার্টিন এর সকাল দেখবো বলে। সকালের সৌন্দর্য আসলেই দেখার মতো। প্রত্যেকের এইটা উপভোগ করা উচিৎ। জীবনের শ্রেষ্ঠ সকাল গুলোর একটা হবে আমি নিশ্চিত। সাইকেলে ঘুরে দেখেছি পূর্ব ও পশ্চিম বীচ এবং দ্বীপের লোকালয়ের মাঝের মেঠোপথ।
এই দ্বীপে সবচেয়ে বেশী যে কয়টা জিনিস আশ্চর্যের তার মধ্যে সোনালী ধান ক্ষেত অন্যতম। এইখানে এতো সুন্দর ধান সুবহান আল্লাহ। এবং চারপাশে সাগর, কিন্তু মাঝে মিষ্টি পানি।
সকালের সাইক্লিং শেষে ডাব খেলাম, এবং সুন্দর সকালের সমাপ্তি হলো।
সাইকেল ভ্রমণ শেষে গোসল করে, রিসোর্ট চেক আউট করে ঘাটে এসে নাস্তা করলাম। এরপরে ছেড়াদ্বীপ গেলাম বোটে করে। উফ পানি এতো স্বচ্ছ আর সুন্দর হতে পারে জানা ছিলো না।
গোসল করতে খুব মন চেয়েছিলো, এইটা পরের বারের জন্য তোলা রাখা আছে। বুট-মুরি, ডাব, আর আইস গোল্লা খেয়েছিলাম। এই গরমে যাষ্ট ইয়াম লাগছে।
কেউ আসলে পরিকল্পনা করে যায়না, নইলে দেখলাম আমরা ছাড়া আর কেউ ছাতা নিয়া যায়নাই। সবাই রোঁদে পুড়ে ছাই হইসে। বেলা একটায় রওনা দিয়ে ছেড়াদ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন ঘাটে ফিরে এলাম।
উফ ছেড়াদ্বীপ…
যেন নীল, নীল, আর নীল…
ছেড়াদ্বীপ থেকে এসে মাছ ফ্রাই দিয়ে খাওয়া সেরে নিলাম। তারপর শীপে উঠে বসলাম। সময়মতো ছেড়ে দিলো, নীল জলের উপর ভেসে ফিরে চলার ভ্রমণ শুরু হলো আবার।
নীল জলরাশি ছেদ করে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে দারুচিনি দ্বীপ। হয়তো আবার দেখা হবে, নয়তো হবে না। আলহামদুলিল্লাহ আফসোস নেই।
ফ্রেশ হয়ে বীচে যাই, এইদিন রাতে আর বেশী সময় অবস্থান করিনি। টায়ার্ড ছিলাম তাই রাতের খাবার খেয়ে চলে আসি রুমে, পরেরদিনের প্ল্যান তৈরি করে শুয়ে পড়লাম।
ভিডিও লিংকঃ