লোকাল গাইড হিসেবে কাজ করছি ২০১৭ সাল থেকে, একা একা কাজ করতাম, ম্যাপ নিয়ে কোন সমস্যা হলে সমাধান করতে পারতামনা, বাংলাদেশ লোকাল গাইড নামে একটি কমিনিউটি আছে তাও জানতামনা, বাংলাদেশ লোাকাল গাইড এর সদস্য রাসেল এর মাধ্যমে গ্রুপটির লিংক পাই, গ্রুপটির সাথে আছি মাত্র দুই মাস, অনেক সমস্যার সমাধান পেয়েছি গ্রুপটি থেকে।
(বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সকল লোকাল গাইড)
এবারই প্রথম আবেদন করলাম মিটআপে অংশগ্রহণ করার জন্য, কোর টিম আমাকে নির্বাচিতও করলো, সেই থেকে অপেক্ষা শুরু, ২৯ নভেম্বর রওনা দিলাম মিটআপের উদ্দেশ্যে, নতুন বাজার নেমে শাটল বাসের জন্য দাড়িয়ে রইলাম, প্রথমেই দেখা হলো মতিউর ভাই ও আশিকুজ্জামান এর সাথে, লোকাল গাইডদের মধ্যে তাদের সাথেই আমার প্রথম পরিচয়।
শাটল বাসের অপেক্ষায় আমি মতিউর ভাই ও আশিকুজ্জামান
কিছুক্ষন পরেই শাটল বাসটি আসলো, আমি সহ আরো কয়েকজন বাসে করে রওনা হলাম মিটআপ ভেন্যুর উদ্দেশ্যে।
মিটআপ ভেন্যূ:- ইউনাইটেড ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
বাস থেকে নেমে একটু অপেক্ষা করে লাইনে দাড়ালাম, তিনজন করে ভিতরে যাচ্ছিলো, অবশেষে আমিও গেলাম রেজিষ্ট্রেশন বুথে নাম্বার বলে পেলাম কয়েকটি গিফট আইটেম।
গিফট আইটেম, টি-শার্ট, নোটবুক, কলম
অডিটোরিয়ামে আমি আমার আসন নিয়ে বসলাম, কিছুক্ষন পরই দেখা হলো রাসেল, দোলন সহ নরসিংদীর কয়েজনের সাথে এবং শুরু হলো রাফসান রানা ভাইয়ের উপস্থানায় কানেক্ট লাইভ ২০১৯ এক্সপ্রিয়েন্স শেয়ার ১২৩ মিটআপের অনুষ্ঠান।
উপস্থাপক রাফসান রানা
যাদেরকে শুধু ফেসবুকেই দেখতাম, তাদেরকে সরাসরি দেখার আনন্দটা একটু বেশিই ছিলো, মাহবুব ভাই, শামীম শুভ ভাই, আব্দুস ছাত্তার ভাই সহ আরো অনেককে।
প্রশ্ন উত্তর পর্ব
আমার জন্য প্রশ্ন উত্তর পর্বটি খুবই গুরুত্তপুর্ণ ছিলো, কয়েকটি সমস্যার সমাধানও পেলাম, আরেকটি সুখবর যা ছিলো বাংলাদেশে রোড এ্যাড করা যেতে পারে ২০২০ সালে অপেক্ষায় রইলাম।
আমি ও রাসেল
বাংলাদেশ লোকাল গাইড কমিউনিটি শুধু ম্যাপ ভিত্তিক নয়, ফিরিয়ে দেয় পুরোনো বন্ধুকেও, সবচেয়ে আনন্দের ছিলো নয় বছর পর ছোট বেলার বন্ধু রাসেলের দেখা পাওয়া।
স্ন্যাক্স ও কোলড্রিংস
লাইনে দাড়িয়ে টোকেন দিয়ে খাবার নেয়া, যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশী পাওয়া, বার্গার, রোল, কেক ও কোলড্রিংস।
আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিলো ছোট সুইট মেয়েটির মিটআপে অংশগ্রহন করা, অনুষ্ঠানের মধ্যমনিও বলা যায়।
ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ লোকাল গাইড কোর টিম ও মিটআপে অংশগ্রহণ করা সকল সদস্যদের, আরো ধন্যবাদ জানাই স্টারটেক, জিমিনি, রকমারী, নিস্বর্গ ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে।