জাদুঘর একটি জাতির ইতিহাসের স্বাক্ষী। বাঙালি জাতির ইতিহাস বহু প্রাচীন ও ঘটনাবহুল। বহু শতাব্দী ধরে এ জাতিকে শুধু অন্যায় ও অবিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার মধ্যে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের কাছেই এ জাতি সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়েছে। গুপ্ত সাম্রাজ্য থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাম্রাজ্য কালে কালে এই জাতি অত্যাচারের আগুনে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে আজ একটি সমৃদ্ধ জাতিতে পরিনত হয়েছে। এই সব কথা কাহিনী যুগে যুগে বহু ঐতিহাসিক তাদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে বিখ্যাত হয়েছেন। আর বাঙালির স্বাধীনতার পর দেশে অনেক স্মৃতির স্মারক স্বরূপ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পর এই ঐতিহাসিক ঘটনা গুলো একটি স্থানী স্থান পেয়েছে। তাই জাতীয় ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসেবে জাদুঘর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ১০৩টি জাদুঘর রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু জাদুঘরের কাহিনী নিচের লিংকের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন । এই লিংকটি গুগল ম্যাপের একটি লিংক যেখানে আমি প্রায় সবকটি জাদুঘরক একটি লিস্টে একত্রিত করেছি। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
জাদুঘর একটি জাতির ইতিহাসের স্বাক্ষী। বাঙালি জাতির ইতিহাস বহু প্রাচীন ও ঘটনাবহুল। বহু শতাব্দী ধরে এ জাতিকে শুধু অন্যায় ও অবিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার মধ্যে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের কাছেই এ জাতি সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়েছে। গুপ্ত সাম্রাজ্য থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাম্রাজ্য কালে কালে এই জাতি অত্যাচারের আগুনে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে আজ একটি সমৃদ্ধ জাতিতে পরিনত হয়েছে। এই সব কথা কাহিনী যুগে যুগে বহু ঐতিহাসিক তাদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে বিখ্যাত হয়েছেন। আর বাঙালির স্বাধীনতার পর দেশে অনেক স্মৃতির স্মারক স্বরূপ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পর এই ঐতিহাসিক ঘটনা গুলো একটি স্থানী স্থান পেয়েছে। তাই জাতীয় ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসেবে জাদুঘর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ১০৩টি জাদুঘর রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু জাদুঘরের কাহিনী নিচের লিংকের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন । এই লিংকটি গুগল ম্যাপের একটি লিংক যেখানে আমি প্রায় সবকটি জাদুঘরক একটি লিস্টে একত্রিত করেছি। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
এই জাদুঘরটি রাজশাহী শহরের হেতেমখাঁ চত্বরে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৬৪ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।
ঐতিহাসিক সামগ্রী সংগ্রহের দিক থেকে এই জাদুঘরটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। দর্শনার্থীদের পুরো জাদুঘর দেখার সুবিধার্থে জাদুঘরটিকে ৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
এই জাদুঘরে ১২ হাজার প্রাচীন সাহিত্যের পান্ডুলিপি রয়েছে। নওগাঁর পাহাড়পুর থেকে উদ্ধারকৃত ২৫৬টি ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। আরো আছে হিন্দু ও বৌদ্ধদের তৈরী কাঠ ও পাথরের নানারকম ভাস্কর্য, বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, বৌদ্ধ মূর্তি, বিভিন্ন ভাষায় লিখিত বিশাল বিশাল শিলাপাথর কৃষ্ণপাথর , বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত অমূল্য ধাতব সামগ্রী।
নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের অসামান্য প্রচেষ্টায় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠিত হয়। পরে রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি ঐতিহাসিক সামগ্রী সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং নির্মাণ শেষে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেল জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া ও অনলাইন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা।