খাগড়াছড়ির মাতাই পুখিরি (Matai Pukhiri)

সুপ্রিয় বন্ধুগণ,

আশা করছি, আপনারা সবাই নিজ নিজ অবস্থানে ভাল আছেন এবং সুস্থভাবে জীবনযাপন করছেন।

আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে মহালছড়ি উপজেলায় নুনছড়ি মৌজায় মাতাই পুখিরি (Matai Pukhiri) নামক স্থান সম্পর্কে।


এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ ফুট ওপরে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত | এই পবিত্র জলাশয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় হাজার ফুট এবং প্রস্থ ছয়শত ফুট। এই পবিত্র জলাশয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় হাজার ফুট এবং প্রস্থ ছয়শত ফুট। এই জলাশয়ের পানি কখনো শুকিয়ে যায়না এবং বৃষ্টি অথবা বর্ষাকালের সময় এই জলাশয়ের পানি আবার ভরে উঠে | স্থানীয় লোকদের বিশ্বাস, দেবতা এই এলাকার লোকদের পানির চাহিদা মেটানোর জন্য এই হৃদ অথবা জলাশয় সৃষ্টি করেছেন। এই জলাশয় / হ্রদ স্থানীয়দের কাছে এটি আর্শীবাদস্বরূপ।.টিপরা সম্প্রদায়ের কাছে এই জলাশয় অনেক পবিত্র সেটার জন্য প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে এখানে তীর্থ মেলা বসে। অনেক দূর দূরান্ত থেকে পুণ্য লাভের আশায় অসংখ্য মানুষ ত্রিপুরাদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত মাতাই পুখিরিতে আসেন।

মাতাই পুখিরি সৃষ্টির কারণ হিসাবে বেশকিছু লোককথা প্রচলিত আছে। এক স্থানীয় জুম চাষী স্বপ্নে দেবতার নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে জুম চাষ চালিয়ে যান।
কিছুদিনের মধ্যে এক ভুমিকম্পের পর স্থানীয়রা দেখতে পায় জুম পাহাড়ের জায়গাটিতে একটি জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া প্রচলিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জলের চাহিদা পূরণের জন্য স্বয়ং জল দেবতা এই মাতাই পুখিরি খনন করেছেন।
আবার এই জলাশয়ের গভীরতা নিয়ে প্রচলিত লোককথা থেকে জানা যায়, রেবতি রঞ্জন নামের এক জনৈক টিপরা ব্যক্তি বাঁশের ভেলায় চড়ে লেকের গভীরতা মাপার চেষ্টা করলে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসেন।

7 Likes