বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শেখর নগরের শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী মন্দির।
শেখর নগর মা কালী মন্দির সম্পর্কে
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কয়েকশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী শেখরনগর কালী মন্দিরের শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী পূজা ও মেলা হয়। সিরাজদিখানে শেখরনগর ইউনিয়নে ইছামতি নদীর কূলে এই মেলাকে ঘিরে এখন উৎসব হয় । লাখো মানুষের ঢল নদেখা যায় । শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী পূজায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ পূজা ও মেলা চলে ৭ দিন। শেখরনগর ঋষি সমিতির উদ্যোগে বাংলা ৯০১ সন হতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কালী পূজাকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন হলেও তা আর কেবলই হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা হিসেবে আবদ্ধ থাকে না। রূপ নেয় সর্বজনীন উৎসবে। পূজার দু-চার দিন আগেই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে বাবার বাড়িতে মেয়েরা বেড়াতে আসে এ পুজায়। মেলায় দেশ-বিদেশের অনেক ভক্তও আসে নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশর বিভিন্ন প্রান্ত ভক্তরা চলে আশে। মেলাকে কেন্দ্র করে ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে । কালী মন্দিরের পূজা ও মেলাকে ঘিরে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে এখানে অন্তত লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। ভক্তরা প্রতিদিন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শেখর নগরের শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী মন্দির আশে। শেখর নগর মা কালী মন্দিরটি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বসম্পন্ন স্থান, যেখানে প্রতিবছর হাজারো ভক্ত পূজা অর্চনায় অংশগ্রহণ করেন । 
Maa Kali Temple, Shekharnagar | শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী মন্দির, শেখর নগর, সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ
কিভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে শেখর নগর মা কালী মন্দিরে যাওয়ার পথ
১. বাসে ভ্রমণ
•প্রথম ধাপ:
ঢাকার গুলিস্তান বা সদরঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জগামী বাসে উঠুন। এখান থেকে নিয়মিত মিনিবাস সার্ভিস পাওয়া যায় যা নিমতলা সিরাজদিক্ষান নেমে শেখর নগর অটো রিকশা / সি এনজি করে যেতে পারবেন।
• দ্বিতীয় ধাপ:
মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে স্থানীয় বাস বা সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করে সিরাজদিখান উপজেলার শেখর নগরে পৌঁছাতে পারেন এই মন্দিরে।
২. ব্যক্তিগত গাড়ি বা রাইড শেয়ারিং
• রুট: ঢাকা থেকে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে শ্রীনগর হয়ে সিরাজদিখান উপজেলার শেখর নগরে যেতে পারেন শেখর নগর। 
• সময়: যাত্রা সময় আনুমানিক ১ ঘন্টা, ট্রাফিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
ভ্রমণ পরামর্শ
• সেরা সময়: মন্দিরে বিশেষ পূজা বা উৎসবের সময় ভ্রমণ করলে স্থানটির ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। তারাছা পুরো সপ্তাহ এবং শুক্রবার মন্দিরে প্রার্থনা হয়।
• স্থানীয় গাইড: প্রয়োজনে স্থানীয় গাইডের সাহায্য নিতে পারেন, যারা আপনাকে মন্দির ও আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখাতে সহায়তা করবে প্রসাদের ব্যবস্থা করে দেব । বয়স্ক ব্যক্তিগত হুইল চেয়ার নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার সুযোগ সুবিধা আছে।
খাবার : মন্দিরের আশেপাশে অর্ধ শতাব্দী খাবারের হোটেল আছে এবং বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা আছ ।
• নিরাপত্তা: ভ্রমণের সময় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
#bdlg #localguides #localguidesbd #Bangladeshlocalguide #Hindutemple #localguideconnect
