Loknath Baba Ashram at Baradi Sonargaon Narayanganj

Light mist, cold air while the sun is downing soon! In such a situation, it is normal to have no noise in the village. But the exceptional scenario was seen in Baradi village in Sonargaon during the late Kartik that the whole village is decorated with a festive look and the crowded is also tingled at Lokenath Ashram. Thousands of Sri Sri Lokenath Brahmachari’s devotees sit with various offerings including soil-lamp, ghee, banana leaf, flowers, paddy-durba, dub, milk, etc.

Before evening the fruits brought from the house were kept for some time in front of the idol of Lokenath. Then all of them sit in a row on the open ground. The lamp is on the Banana leaf placed in front. The fruits are arranged around different colors. The bell rang immediately after sunset. Hundreds of lamps lit together. The view from above is like a dream. Everyone keeps saying in the same voice - 'Baba Lokenath, 'Baba Lokenath Goo, Ebar Amader Rokkha Koro Goo (Oh! Farther Lokenath, save us, save us now).


After the lamp is lit, the Lokenath devotees break the fast which is carried out for the wellbeing of their friends and families as well as to eliminate the evil.

It is learned that, the Father Lokenath ordered to observe fasting in Kartik month and to burn ghee lamps in the Ashram premises to avoid epidemic diseases like cholera, smallpox etc. From there, Lokenath devotees observe the festival held on every Saturday and Tuesday at Bardi Loknath Ashram in Sonargaon during the last 15 days of Kartik month named as ‘Kartik brat’, ‘Rakhar Upabas’, ‘Gosayr Upabas’, or Grito Prodip Projjolon’.

Along with the editor of the DailyBangladesh, this was our first-time tour to the ashram covered with incense smoke. We went to Baradi with the help of the Sonargaon correspondent. We stayed until the end of the program to enjoy the various festivals and ceremonies directly. This festival is held at the Sri-Sri Lokenath Brahmachari Ashram, established by the Sri-Sri Loknath Brahmachari Kartik, which is most commonly known as ‘Baradi Ashram’.


What happens at this festival?

Before dusk, the devotees started to sit around the monastery in a row waiting for the sunset. They lit the ghee lamp when the sun went down in the west. Then the holy lamps of the devotees were illuminated all around piercing the dark. When the lamp was lit, the pilgrims became engrossed in the ashram covered with incense smoke. They wish for their relatives’ welfare.

Here is a special rule about lighting a lamp. Lamps are kept for counting the number of people for whom you are wishing. From three-four-ten-twenty and as many as you wish, you can have lit lamps. In a row, these thousands of lamps dazzling with the mild frosty weather create an undiscussable beautiful atmosphere.

Devotee Dilip Ghosh lit eight lamps this time. He is from Dinajpur. Talking to him, it is known that the time of lighting a lamp is called 'Ghrito Prodip Projjolon (lamp ignition). “At other times of the year, we keep burning the lamps with oil in the temple. But according to the rules here, ghee is used to burn. There is a reason behind this. Father Lokenath realizes that it is possible to be saved from cholera and smallpox through prayer by the Gree lamp instead of oil.


It seems like a different world when the lamp shines and the moments of prayer! Many photographers from different parts of the world as well as across the country came to Baradi to spend some weird time lighting the camera and capturing those moments. This time, no exception. Tourists from several countries, including China, the UK, Germany, have arrived. Chinese citizen Zhang Yang said that he has a great desire to visit Shatgambuz Mosque, the Sundarbans. “But when I heard there was such a festival, I didn’t want to miss out; so I came this time,” the Chinese citizen added.

Another part of the event is Odhibas Kirtan (one kind of spiritual song) of the temple of Nat. The episode starts with Prasad festival going on till midnight. The ceremony takes place on an open stage in the center of the temple premises surrounded by the fans and one of the celebrity groups. Originally, this episode focuses on the various chapters of Sri Lokenath Brahmachari’s life and the folklore of Sri Krishna, with the traditional music instruments.

Baradi Ashram, the icon of the non-communal awareness, said Bardi union council chairman Zahirul Haque. In the post-war period, He said Lokenath Baba’s monastery was the only one in Bangladesh. Lokenath Ashram has been established in many places now. I still remember, in 1975, there was no proper road at that time. People came from all over the country crossing the canal-raw roads. Ever since then, Hindus and Muslims have always tried to organize peacefully this festival.


He also said that the Rakher fasting would be organized through their own funds, earlier. “But I have heard that this time a fund has come from the government for the first time. And don’t even have to worry about security. Loknath devotees can move freely here. There is no danger or-hassle here. Since the present government came to power this arrangement has become more and more glorious,” the UP chairman said.

Farid Hossain, a local shopkeeper, said, "I have been observing this event since my childhood, but no chaos has been seen ever. The shop is so crowded because of the monastery. The Pera Sandesh (one kind of sweetmeat), many things including the mustard oil, have been familiar to the people a lot due to the Rakhar fast gathering.

17 Likes

হালকা কুয়াশা, ঠান্ডা বাতাস। সূর্যটাও ঢলে পড়েছে তাড়াতাড়ি! এমন আবহে গ্রামগঞ্জে কোলাহল না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কার্তিকের শেষ ভাগে সোনারগাঁওয়ের বারদী হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। লোকনাথ আশ্রমে ভিড় করে হাজারো মানুষ। মাটির প্রদীপ, ঘি, কলাপাতা, ফুল, ধান-দূর্বা, ডাব, দুধসহ নানান নৈবেদ্য নিয়ে বসে থাকেন হাজারো শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ভক্ত।

সন্ধ্যার আগেই বাড়ি থেকে আনা ফলমূল কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয় লোকনাথের মূর্তির সামনে। তারপর সেগুলো নিয়ে উন্মুক্ত ময়দানে সারিবদ্ধভাবে বসে যায় সবাই। সামনে কলাপাতার ওপর রাখা হয় ঘিয়ের প্রদীপ। চারপাশে সাজানো থাকে নানা রঙের কাটা ফল। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে ঘণ্টা। একসঙ্গে জ্বলে ওঠে শত শত প্রদীপ। ওপর থেকে দেখা সেই দৃশ্য দেখতে স্বপ্নের মতো। সবাই একই সুরে বলতে থাকেন- ‘বাবা লোকনাথ, বাবা লোকনাথ গো, এবার আমাদের রক্ষা করো গো’।

প্রদীপ প্রজ্জলন শেষে সারাদিনের উপবাস ভাঙা হয়। লোকনাথভক্তরা মূলত আপনজনের কল্যাণ কামনা করে এই উপবাস করেন। কলেরা-বসন্তের হাত থেকে বাঁচার জন্য কার্তিক মাসে উপবাস পালন এবং আশ্রম প্রাঙ্গণে ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ-ধুনা জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বাবা লোকনাথ। সেই থেকে সোনারগাঁওয়ের বারদী লোকনাথ আশ্রমে প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষ ১৫ দিনের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার হয় এই উৎসব। ‘কার্তিক ব্রত’, ‘রাখের উপবাস’, ‘গোসাইর উপবাস’, কিংবা ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন’; লোকনাথভক্তদের কাছে এই উৎসব নানা নামেই পরিচিত।

প্রদীপ জ্বালানো হলে ধূপের ধোয়ায় আচ্ছন্ন আশ্রমে এবারই প্রথম যাওয়া। সঙ্গে ছিলেন ডেইলি বাংলাদেশ সম্পাদক, মফস্বল বিভাগের ইন-চার্জ ও একজন ডিজিটাল মার্কেটার। সোনারগাঁও প্রতিনিধির সাহায্য নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম বারদীতে। অনুষ্ঠান শেষ না অবধি অবস্থান করেছিলাম উৎসবের নানা পর্ব ও আনুষ্ঠানিকতা সরাসরি উপভোগ করতে। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী কার্তিক প্রতিষ্ঠিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমেই হয় এই উৎসব। যা সবচেয়ে বেশি পরিচিত ‘বারদী আশ্রম’ নামে।

কী হয় এই উৎসবে

সন্ধ্যা নামার আগে সারিবদ্ধভাবে আশ্রম ঘিরে বসতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা৷ অপেক্ষায় থাকেন সূর্য ডোবার। সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে ঘিয়ের প্রদীপে আগুন জ্বালান ভক্তরা। অন্ধকার ভেদ করে তখন ভক্তদের পবিত্র প্রদীপালোকে আলোকিত হয় চারপাশ। প্রদীপ জ্বালানো হলে ধূপের ধোয়ায় আচ্ছন্ন আশ্রমে প্রার্থনায় মগ্ন হন পুণ্যার্থীরা। আপনজনের জন্য কল্যাণ কামনা করেন তারা।

প্রদীপ জ্বালানো নিয়ে এখানে একটি বিশেষ নিয়ম আছে। বিপদ থেকে রক্ষার জন্য যে কয়জন আপনজনের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা হয়, গুনে গুনে সেই ক’টি প্রদীপই রাখা হয়। তিন-চার-দশ-বিশটা পর্যন্ত প্রদীপ দেখা যায়। তাই এখানে ভক্তের চেয়ে প্রদীপের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি থাকে। সারিবদ্ধভাবে জ্বালানো এই হাজার হাজার প্রদীপ হালকা হিম আবহাওয়ার সঙ্গে মিশে তৈরি করে অনিন্দ্য সুন্দর অপার্থিব আবহ।


পুন্যার্থী দিলীপ ঘোষ এবার আটটি প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। দিনাজপুর থেকে এসেছেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রদীপ জ্বালানোর সময়টাকে বলা হয় ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন’। দিলীপ বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ে আমরা মন্দিরে তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকি। কিন্তু এখানকার নিয়মানুযায়ী ঘি দিয়ে জ্বালাতে হয়। এর পেছনেও কারণ আছে। বাবা লোকনাথ উপলব্ধি করেন, তেলের বদলে ঘৃত প্রার্থনার কারণে কলেরা আর বসন্তের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

প্রদীপ প্রজ্জলন ও প্রার্থনার মুহূর্তগুলো দেখে মনে হয় এ এক ভিন্ন জগৎ! আলো আঁধারে অদ্ভুত কিছু সময় কাটাতে এবং সেই মুহূর্তগুলো ক্যামেরা বন্দি করতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু আলোকচিত্রী ছুটে আসেন বারদীতে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। চীন, যুক্তরাজ্য, জার্মানসহ বেশ কয়েকটি দেশের পর্যটক এসেছেন। চীনা নাগরিক ঝাং ইয়াং বলেন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন ঘোরার ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের। কিন্তু যখন শুনলাম এখানে এমন একটা উৎসব হয়, তখন মিস করতে চাইনি। তাই এই সময়টায় আসা।

ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো শেষ হলে ভাঙা হয় সারাদিনের উপবাস। আশ্রমের পক্ষ থেকে কিছু প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়। ভক্তদের নিয়ে আসা নৈবেদ্য আর সঙ্গে আরো কিছু খাবার যোগ করে প্রস্তুত করা হয় এই প্রসাদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার্তিকের এই ব্রতকে কেন্দ্র করে নানান জায়গা থেকে আসা ভক্তরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে খিচুড়ি বা ফল প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করে থাকেন।


এই আয়োজনের আরেকটি অংশ নাট মন্দিরের অধিবাস কীর্তন। প্রসাদপর্ব চলার সময়ই শুরু হয় এই পর্ব, চলে একেবারে মধ্যরাত অবধি। মন্দিরের বেদির ঠিক মাঝখানে করা চারদিক খোলা মঞ্চে চলে এই অনুষ্ঠান। চারিদিক থেকে ঘিরে থাকে ভক্তরা আর কীর্তনকারী দলের কেউ একজন চারদিকের দর্শকদের একেবারে মোহিত করে ফেলে কীর্তনের মাধ্যমে। মূলত শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জীবনের নানা অধ্যায় আর শ্রী কৃষ্ণের নানার লোকগাথাকে কেন্দ্র করে একের পর এক পালা গানের মতো বাঁশি, করতাল, খোল ও হারমোনিয়ামের সঙ্গে সঙ্গত করে চলতে থেকে এই কীর্তন।

10 Likes

Wow @NurulKarim many light everywhere . This festival open for touris ?

3 Likes

Yes.

Hi @NurulKarim ,

Thank you for sharing this tradition with us. I’ve never seen or read anything about it before, and the photos are just amazing.

Please note that I merged this post to this one here, as you are referring to the same subject.

2 Likes

I was also on this trip. It was a memorable day. :heart_eyes:

1 Like

Excellent writing brother @NurulKarim :heart:

And the most important things are the photos, they just ow!

Thanks for sharing this with us.

Oh!Welcome to Connect! :heart_eyes:

Wish you a very happy journey.

2 Likes

@Nyainurjanah yes!