বাংলাদেশ লোকাল গাইডের ১০০তম মিট আপটি আমরা কিভাবে উদযাপন করেছি এতদিনে তা নিশ্চয়ই সবাই জেনে গেছেন। সবাই এত সুন্দর করে গুছিয়ে অনুষ্ঠানটির প্রত্যেকটি অংশ তাদের লেখায় তুলে ধরেছেন যে আমি আর তা বর্ণনার সাহস পাচ্ছি না। উল্লেখ্য যে, সে দিনটি ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসের জন্যই হোক অথবা একজন লোকাল গাইড হিসেবেই হোক, আমাকে সবার সামনে কিছু বলতে বলা হয়েছিল। তবে ভাগ্যিস কোনো বিষয় নির্ধারিত করে দেয়া হয় নি, তাহলে হয়তো সাবলীল ভাবে কিছু বলাটা আমার জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে যেত।
যেদিন আমাকে এ ব্যাপারটা জানানো হয়েছিল সেদিন থেকেই আমি বেশ চিন্তিত ছিলাম, কি বলব তা নিয়ে নয় বরং কিভাবে বলব তা নিয়ে। কেননা এর আগে আমি কখনো ভরা মজলিসে মাইক্রোফোন হাতে কিছু বলার জন্য দাঁড়াইনি। এটা আমার জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্নই ছিল বলা চলে।
কিন্তু যখনই আমি মঞ্চে দাঁড়ালাম তখনই মনে হল কোথা থেকে যেন একগাদা আত্মবিশ্বাস এসে ভর করেছে আমার উপর। যখন সামনে তাকালাম, একঝাঁক প্রাণোচ্ছল লোকাল গাইডদের উৎসুক চাহুনিতে আমার ভয়টা কোথায় যেন পালিয়ে গেল।
আমি আমার লোকাল গাইড হয়ে উঠার গল্প এবং একজন নারী হিসেবে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কি কি বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করেছিলাম।
আমার সবচেয়ে প্রিয় একটা সেশনের কথা না বললেই নয়। সব মিট আপেই এই সেশনটা আমার ভীষণ প্রিয়। কেননা মনের কোণে ক্ষীণ একটা আশা থাকে কিছু একটা পাবার। এবারও আমাকে নিরাশ হতে হয় নি। ফিমেল লোকাল গাইডদের মধ্যে কন্ট্রিবিউশনে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জন করে পুরস্কৃত হয়েছি। এ মুহূর্তটা ছিল ভীষণ আনন্দের।
পরিশেষে আমি সকল আয়োজকদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অনুষ্ঠানটি স্বার্থক হয়েছে। সারা দেশ থেকে অসংখ্য লোকাল গাইডদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল বেশ উৎসবমুখর এবং প্রাণবন্ত।
অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে।




