কোন দ্বীপ বা চর যেখানে কোন মানুষ বসবাস করে সেই জায়গার পরিবেশ, আবহাওয়া, মানুষের ব্যবহার শহুরে মানুষের থেকে কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। তাদের খাদ্যভাস, চলাফেরা ইত্যাদিতেও পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নওপারা ইউনিয়েন ঘুরতে গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে, সেখানে গিয়ে অর্জন করেছি নতুন অভিজ্ঞতা, জানতে পেরেছি তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে।। আজ সেই ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো…
যাতায়াত ব্যবস্তাঃ শরীয়তপুর জেলার মধ্যে এই দ্বীপ/চরে যেতে হলে অবশ্যই ট্রলারে করে যেতে হবে। তবে বর্ষা মৌসুমে একদম নদীরপারে ভিরে ট্রলার, আর শুকনা মৌসুমে বিভিন্ন ডুবোচরের জন্য পারে ভিরতে পারে না, এজন্য নদীর পারেই কোন চরে নামিয়ে দেওয়া হয়, সেখান থেকে বাইকে/ট্রলিতে করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হবে।
উল্লেখ্য এখানের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম বাইক, এরপরে ট্রলি, কিছু ইজিবাইক/অটো দেখা যায়। তবে বাইকে উঠলে তারা আপনাকে বিস্তর বালুর মাঠের ভিতর দিয়ে, কোন খেতের মধ্যে, কখনো কারো বাড়ির উঠান দিয়ে, আবার কখনো নদীর মধ্যে দিয়ে(যখন পানি কম থাকে) নিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌছে দিবে।
জীবন জীবিকাঃ এই দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা হলো কৃষি। কেননা, নদীতে জেগে উঠা চর গুলোতে তারা ধান রোপন করে, এছাড়া মাছ ধরা, ব্যাবসা, বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে অনেকেই।
পরিবেশঃ এখানে আসলে আপনার কাছে মনে হবে এ যেনো কোন মরুভূমিতে চলে আসলাম, আবার মনে হবে সবুজে ঘেরা কোন অঞ্চলে চলে এসেছি। গ্রামের মানুষ গুলোর ব্যবহার অনেক ভালো, প্রায় প্রতিটা বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে, আবার অনেকে ফুলের বাগানো করে।
নদীর পারে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, গ্রামের ছেলেমেয়েদের নদীদে লাফালাফি করে গোসল করা, গোধূলির সময় রাখালের গরুর পাল নিয়ে বাসায় ফেরা দৃশ্য আপনাকে বিমোহিত করবে। এখানে সবকিছুই তাজা পাওয়া যায়, বিশেষ করে মাছ ও শাকসবজি। এখানে গত দুইবছর যাবত বিদ্যুৎ এসেছে। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে শহুরে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে এখানের মানুষের মধ্যে।।
(Drone: DJI Mini3 Pro)
কষ্ট করে পোষ্টটি পরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।