বাংলাদেশ থেকে হিমালয়কন্যা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবরের শেষভাগ থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত।
ক্যাম্পসাইটে দাড়িয়ে আমি।
এ সময়টাতে বাংলাদেশের তেতুলিয়া সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের মন জুড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তবে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলা থেকে খুব কাছাকাছি দেখা যায়।
কারণ এখান থেকে নেপাল খুব কাছে আর কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ও নেপালে অবস্থিত যার কারনে তেতুলিয়া থেকে কাছাকাছি দেখা যায়।
তেতুলিয়ার যেকোনো ফাকা যায়গা থেকে ভোড়ের আলো ফোটার সাথে সাথেই দেখা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় আবহাওয়া ভালো থাকলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়।
আমরা তাবু এবং যার যার প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসি চা বাগানের পাশের ফাঁকা যায়গায় সন্ধ্যা হওয়ার পরে সকলে মিলে রাতে থাকার জন্য তাবু রেডি করে ফেলি।
তাবু রেডি, ছবিটা সকালের তোলা।
রাতের বেলায় আমরা কয়েকজন মিলে বারবিকিউ (BBQ) বানানো শুরু করি এবং কয়েকজন বাজারে চলে যায় রুটি এবং অন্যান্য জিনিস আনার জন্য।
বারবিকিউ বানাচ্ছি।
এরপর রাতে খাওয়া দাওয়ার পরে আকাশের তাঁরা দেখে দেখে গল্প আড্ডা চলতে থাকে।
আড্ডা শেষ হওয়ার পরে চলে যাই তাবুর ভেতরে।
যে তাবুতে রাতে থাকলাম।
আমাদের গ্রুপের সবাই।
সকালে তাবু থেকে বের হয়েই ভোরের প্রথম আলোয় বহুল কাঙ্খিত সোনালী কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা! আহা!
ওইত কাঞ্চনজঙ্ঘা উকি দিচ্ছে!
এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম তাবুতে রাত্রিযাপন।
বেশ উৎসাহ নিয়েই উপভোগ করেছিলাম ট্যুরের প্রতিটি সময়। আর অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না!
এই ট্যুরে #BDLG বাংলাদেশ লোকালগাইডস এর দুইজন সদস্য ছিলো।
১ম জন @Mazharul_BDLG
২য় জন আমি @KhanSayfullah
আমাদের ট্যুরের হোস্ট ছিলেন মাজহারুল ভাই।
আশা করি তার সাথে আগামীতে আরো অনেক ট্যুর হবে।
যেভাবে যাবেন :- ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে পঞ্চগড়। অথবা বাসেও যেতে পাড়েন পঞ্চগড়।
পঞ্চগড় থেকে বাস / টোটোতে করে তেতুলিয়া বাজার এরপর সেখান থেকে আপনি যেখানে থাকবেন সেখানে চলে যাবেন।
বিঃ দ্রঃ এটাই আমার প্রথম বড় ট্যুর এবং প্রথম ট্রেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তাই বেশি কিছু বুঝিয়ে বলতে পারলামনা।
ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
#letsguide #bdlg #BDLG #bangladesh #travel #bangladeshlocalguides #localguidesconnect #connect
ধন্যবাদ