মিষ্টির নাম শুনলেই বাঙ্গালীর জিভে জল আসবেই , তা সে খেতে পারুক আর নাই পারুক । বহুদিন পূর্ব থেকেই বাঙ্গালীর মিষ্টি বা মিষ্টান্ন জাতীয় খাদ্যের সাথে একটা সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যগত সম্পর্ক । তেমনি একটি মিষ্টির দোকান রাজধানি ঢাকার অদুরেই , প্রাচ্যের ডান্ডি নামে পরিচিত নারায়ানগঞ্জ জেলার শহরেই । নাম ” জগৎবন্ধু “ মিষ্টান্ন ভান্ডার । রাজধানী ঢাকা থেকে যার দুরুত্ব মাত্র ১৬ কি.মি. ।
এই মিষ্টির দোকানের মিষ্টির এতোই স্বাদ যে , আপনি বেলা এগারোটার পর দোকানে তেমন মিষ্টিই পাবেন না । দোকান খুলে সেই ফজরের নামাজের পর পরই । দোকানের অপর পাশে শহরের রাস্তার ফুটপাত জুড়ে কাঁচাতরকারীর ভ্রাম্যমান বাজার বসে , যা বেলা নয়টা নাগাদ আর থাকেনা । শহরের লোকজন প্রতিদিন ভোরে তাদের দৈনন্দিন কাঁচাবাজার ক্রয় করার সাথে সাথে ”জগৎবন্ধু” মিষ্টির দোকান হতে কিছু মিষ্টি ও কিনে নেন । আর এ কারনেই হয়তো বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকানের মিষ্টির পরিমান ও কমতে থাকে ।
আমি নিজে প্রায় ছয় রকমের মিষ্টি এবং দই এর স্বাদ নিয়েছি । আমার কাছে মিষ্টির স্বাদ অসাধারন লেগেছে । সবচেয়ে যে কথাটা না বললেই নয়, উনারা খাঁটি দুধ দিয়েই মিষ্টি তৈরী করে থাকেন । উল্লেখ্য যোগ্য মিষ্টির মধ্যে বেশীরভাগ মিষ্টি
ই মালাই কিংবা দুধের স্বরের তৈরি । যেমন : মালই চপ , ক্ষির চমচম , মালাই পেটিস . স্বরের রোল , কালোজাম , দুই রকমের রসগোল্লা ইত্যাদি । এছাড়া এক কেজি ও দুই কেজির পাতিলের দই ও পাওয়া যায় । সবচেয়ে কাংক্ষিত মিষ্টির আইটেম হলো ঘি এ ভাজা লাড্ডু । তবে এ লাড্ডু পাওয়া যায় শুধুমাত্র দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দু মাস ( দূর্গাপুজার শুরুর এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে কালিপুজা পর্যন্ত ) । তা ও সকাল আটটার পরে পাওয়া মুশকিল । মিষ্টির দাম ২০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে ।
কিভাবে আসবেন এই মিষ্টির দোকানে : রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকারম মসজিদের সামনে থেকে নারায়ানগঞ্জগামী বেশ কয়েকটি বাস পাওয়া যায় এবং এর সবকটিই এই মিষ্টির দোকানের কাছাকাছি কিংবা অপরপাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে । অথবা নারায়ানগঞ্জ , চাষারা নেমে নৌ বন্দরের দিকে হাঁটলেই , রেল ক্রসিংএর পরই হাতের ডান দিকে দোকান ( নারায়ানগন্জ ক্লাবের বিপরীত পার্শ্বে )। আর আপনি যদি নৌ পথে আসেন , তাহলে লঞ্চ ঘাঁটে নেমে চাষারার দিকে অল্প কিছু হাঁটলেই পেয়ে যাবেন ।
#bdlg150