ছোটোবেলার এক টুকরো আনন্দ “হাওয়াই মিঠাই”
**কাচের বাক্সে রাখা হাওয়াই মিঠাই।
শৈশবের এক অলস দুপুরবেলা দূর থেকে শোনা যেত ঘন্টার শব্দ। হয়তো মধ্য বয়সী বা বৃদ্ধ ফেরিওয়ালা। হাতে পিতল বা কাঁসার ঘন্টা কাদে বাঁশের পাতের এক পাশে চার কোনা টিনের বাক্স অন্য প্রান্তে ব্যগ বা বস্তা । টিনের বাক্সে (চারপাশে স্বচ্ছ কাচের দেয়াল দেওয়া) ভিতরে গোল গোল গোলাপী সাদা রঙের হাওয়াই মিঠাই নিয়ে ঘন্টা বাজাতে বা বাজাতে দিয়ে হাজির হতো।
ভরদুপুরে হঠাৎ ঘন্টার শব্দ এযেনো একটুকরো স্বপ্নের মতো ছিলো।
মিঠাই ওয়ালার ঘন্টার শব্দ শুনেই ছুটাছুটি শুরু হতো কে কার আগে যাবে।শব্দ শোনা মাত্রই আগে ডাক দিয়ে বলতাম চাচা দাড়ান আসতেছি এখনই তারাহুরা করে মায়ের কাছে গিয়ে বাইনা করতাম ভাঙা জিনিসপত্র দিতে। পুরনো প্লাস্টিক, বোতল, লোহার জিনিস আর না থাকলে বাইনা দরতাম ১ টাকা বা ২ টাকা দিতে।টাকা বা ভাঙা জিনিসপত্র এর বিনিময় পেতাম কয়েকটা ‘হাওয়াই মিঠাই’
হাওয়াই মিঠাই মুখে দেওয়া মাত্রই নিমিষেই মিলিয়ে যেতো “আহ কতনা শান্তি”। হাওয়াই মিঠাই অত্যন্ত আকর্ষনীয়। কালের পরিক্রমায় আজ সেই ছেট গোলাকার হাওয়াই মিঠাই আকারে বেশ বড়ো হয়েছে।কাঠিতে পেঁচিয়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় সব জায়গায় এখন পাওয়া যায় ঐতিহ্যবাহী হাওয়াই মিঠাই বাংলাদেশের বিভিন্ন মেলায় এবং গ্রামে পথে ঘাটে দেখা যায়।
তবে এখন আর আগের মতো ফেরিওয়ালা কাদে করে হাওয়াই মিঠাই নিয়ে আসে না। হাওয়াই মিঠাই যতটা মিষ্টি তার থেকে বেশি মিষ্টি ঠিক ততটাই মিষ্টি ছিলো আমাদের শৈশব। হঠাৎ আজ বহুদিন পর এক মিঠাই ওয়ালা মনেনে করিয়ে দিলো শৈশব এর কথা।