Project: Sea to himalaya
Part 01: Cross country hiking || Bangladesh
Day 05
Date: 03 December 2024
Distance: 23.58km
রোডঃ মাইজঘোনা - চোয়ার ফাঁড়ি - কোনাখালী (বটতলী বাজার) - টইটং
আজকের দিনটা ছিলো এই কদিন এর মধ্যে চাইতে যন্ত্রণার দিন। আজকের দিনের প্রত্যেকটা সেকেন্ড আমার মনে থাকবে আজীবন।
গতকাল রাত থেকেই পায়ের প্রচন্ড যন্ত্রণা সাথে জ্বর। পায়ের যত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন সবই করলাম। সাথে গনি ভাই আর ভাবির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা। সব মিলিয়ে রাতে খাওয়া দাওয়া করে মেডিসিন খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। ঘুম আসতেই রাত ১টা আবার ওইদিকে ভোর ৫টাই ঘুম ভেঙ্গে গেলো। পায়ের যন্ত্রণা কমার কোনো লক্ষ্মণ দেখছি না।
যাইহোক খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। গণি ভাইয়ার স্ত্রী মানে আমাদের ভাবি ভাপা পিঠা আর ডিম সিদ্ধ করে একটা শপিং ব্যাগে করে দিয়ে দিলো রাস্তায় খাওয়ার জন্য। এইটা পেয়ে কিছুটা অবাক হলাম। একজন মানুষ এতো যত্নবান কেমনে হতে পারে।
চকরিয়া থেকে যাত্রা শুরু করি প্রায় ৬ঃ৪০ এর দিকে। বাইর হওয়ার আগে পায়ে ব্যান্ডেজ করে নিলাম। গনি ভাই সাইকেল নিয়ে আসতেছে। আর আমি হাটছি। একেকটা কদম দিচ্ছি আর মনে হচ্ছে আমার মগজে গিয়ে লাগছে। এইভাবে আগাতে আগাতে ৬/৭ কিলোমিটার পর Hasan Tamim এর সাথে দেখা। ওয় এক ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। আজকে পুরোদিন ওয় আমার সাথে হাটবে।
এই মুহূর্তে আমরা তিনজন একসাথে হাটছি।বেশ লম্বা একটা পথ পাড়ি দেওয়ার পর ভাবির দেওয়া ডিম আর পানি খেয়ে গনি ভাইকে বিদায় দিলাম লাল ব্রিজ নামক জায়গায় কিছুটা পর থেকে।সেখান থেকে আমি আর তামিম হাটা শুরু করলাম। আমার ব্যাগ তামিম নিয়ে নিলো জোর করেই। ওর ছোট ব্যাগটা আমাকে দিলো।
ধীরে ধীরে আগাচ্ছি আর সবাইকে নক দিচ্ছি। যাদের কাছে এই সমস্যার সমাধান পাবো। শান্তা আপু বললো আমারো সেইম হইছিলো আমি ওই সময় কম হাটছি। বাবর ভাইও ওইটাই বললো একদিন রেস্ট করেন অথবা তুলনামূলক কম হাটেন। এখন পেকুয়া তে। আগাচ্ছি খুব ধীরে। রাস্তার দুইপাশে শাপলা ফুটে আছে আকাশ থেকে সূর্য আমাকে ফোকাস করেই মনে হয় গরম দিচ্ছে🥹
একটা জায়গায় গিয়ে তামিম কে ডেকে বললাম বসো একটু। বসে ব্যান্ডেজ টা খুলে ফেললাম। কারণ ব্যান্ডেজ এর আশেপাশের জায়গায় খুব ব্যাথা করছিলো।
এবার এ্যাংক্লেট পড়ে গজ দিয়ে ভালো মতো প্যাড বানিয়ে ফসকার নিচে দিয়ে মোজা পড়ে হাটা শুরু করলাম। প্রায় ফাঁকা রাস্তা আশেপাশে তেমন ঘরবাড়ি নেই। মাইলের পর মাইল ধানের খেত আর মাঝেমধ্যে শাপলা ফুলের দেখা।
তামিম বেশ এগিয়ে গেছে। আমার এই জায়গায় এসে এতো কষ্ট হচ্ছিলো যে চোখে জ্বল চলে আসছে। মা’কে কল দিয়ে বললাম আমি বাড়ি আসতেছি ফ্রিজে পানি দিয়ে রাখেন বরফ হওয়ার জন্য। টইটং আসা পর্যন্ত ৩/৪ বার ড্রেসিং করলাম। মাঝপথে কিছু মেডিসিন ওয় কিনে নিলাম। ডক্টর এর নির্দেশনা অনুযায়ী। সাথে কলা , শশা, সেলাইন এইসব ওয়। মাঝপথে এক সাংবাদিক ভাইয়ের সাথেও দেখা হলো।
যাইহোক এইভাবে ধীরে ধীরে টইটং বাজারের আগে তামিম কে বললাম ভাই থাম। আর আগানো সম্ভব না। ওই জায়গায় ২৩ কিলোমিটার হলো। ওখান থেকে তামিমকে বিদায় দিয়ে আমি রিক্সতে উঠে গেলাম চাম্বল বাজারের উদ্দেশ্যে। এতো ক্লান্ত ছিলাম রিক্সা থেকে আমার শখের ওয়াটার বোতল টা নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেলো। প্রচুর ঘুম পাচ্ছিলো আমার। ড্রাইভার বারবার বলছিলো আপু ব্যাগ ধরে বসিয়েন। চাম্বল থেকে গন্ডামারা ব্রিজে এসে ভাইপোর রিক্সা তে করে বাড়ি এসেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে পড়লাম। মা বরফ দিলো পায়ে ইচ্ছেমতো বরফ দিয়ে সরিষার তেল মেখে ভাত খেয়ে নিলাম।
এরপর মা মুখ পুড়তে পুড়তে বলছিলো মুখ পড়ছে আর কিছু না। আমিও বিশ্বাস করে চুপ চাপ মেনে নিলাম। এরপর সেজুর রুমে ঘুমাতে গিয়ে ভাইপো র সাথে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করে ভাবি গরম গরম দুধ দিলো সেটা খেয়ে ভাবলাম ঘুমাবো তার মধ্যে সেজু ভাবি (Shirin Sultana Nikha) বললো গরম পানি করে দিচ্ছি গোসল করে নাও। সবাই যা বলছে তাই শুনছি😁
লম্বা একটা ঘুম দিয়ে উঠে শুনি অনেকেই আমাকে দেখতে আসছে। ঘুম ছিলাম দেখে চলে গেছে। এরমধ্যে মেজু আম্মুর সাথে অনেক্ষণ আড্ডা দিলো হাটা নিয়ে। বাবা আমার জন্য ছোট বোতলে করে জাইতুন তেল দিয়ে দিলো। ভাবীরা ফাজলামি করছিলো এক জামা আর কত সেইসব নিয়ে। Sultana Lucky আবার আমার কাপড় ওয় ধোয়ে দিলো।
যাইহোক রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত মা, ভাবী , ভাইপো ভাতিজি , বোন(লাকি) সবার সেবা আর জ্বর , পায়ের ব্যাথা নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
YouTube: https://youtube.com/@tsrekha?si=XdwmIvzzeR-yaScM
Others platform account: Ts Rekha
Cross country hiking Bangladesh 2024
Sponsor: Zoom Wild || Zoom Wild
#crosscountryhiking2024
#crosscountryhikingbangladesh
#Promote_positivity_and_walk_for_a_healthy_life
#zoomwild
#teknaf_tetulia
#ts_rekha
#পায়ে_হেঁটে_টেকনাফ_থেকে_তেঁতুলিয়া
#পায়ে_হেঁটে_বাংলাদেশ