চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রি - Commonwealth War Cemetery Chittagong (CWGC)

“Known Unto God” written in the epitaph of some unnamed young men who wanted to conquer the world in the hope of adventure are lying today under anonymous names in Commonwealth War Cemetery Chittagong (CWGC). World-famous poet Rudyard Kipling While working for the Imperial War Graves Commission (IWGC), chose this line to write the epitaph of anonymous soldiers killed in World War I & II.

“Known Unto God” এপিটাফে লিখা এই ব্যাকটি দেখে যেকারোই মন বিষণ্ণতায় ভরে যাবে। নাম না জানা তরুণ যুবক যারা অ্যাডভেঞ্চারের আশায় বিশ্বজয় করতে করতে চেয়েছিলো তারাই আজ শায়িত আছেন অজ্ঞাতনামা নামে। বিশ্ববিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক Rudyard Kipling এই ইম্পেরিয়াল ওয়ার গ্রেভস কমিশনের
(Imperial War Graves Commission - IWGC) এ কর্মরত থাকাকালীন এই লাইন টি এপিটাফ এর জন্য নির্বাচন করেন যা বিশ্বযুদ্ধে নিহত অজ্ঞাতনামা সৈনিকদের এপিটাফে লিখার জন্য ব্যাবহৃত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রির উপর করা আমার ট্রাভেল ডকুমেন্টরিটি দেখে আসতে পারেন

“শান্তিতে এখানে ঘুমাচ্ছে যারা
তাঁদেরও ছিলো যুদ্ধ শেষে ঘরে ফেরার তাড়া
না বলা গল্প, বুক পকেটের চিঠি-
কোন কিছুই গন্তব্যে পৌঁছায়নি আজ অব্দি।”-
–Poem by Shahriar Neel

চট্টগ্রামের ১৯ নং বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কে, দামপাড়া এলাকায় কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি অবস্থিত । স্থানীয়ভাবে এটাকে ক্রিশ্চান গ্রাভেইয়ার্ডও বলে।
শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সিমেট্রির দূরত্ব ২২ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দূরত্ব ৮ কিলোমিটার

পঞ্চাশের দশকের প্রথমার্ধে নির্মিত কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি CWGC এর পূর্বে এই এলাকাটি বিশাল ধানক্ষেত ছিলো, এখন এটিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা চলে।শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সিমেট্রির দূরত্ব ২২ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দূরত্ব ৮ কিলোমিটার।

কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন (CWGC) সারা পৃথিবীজুড়ে কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিচালনা করে। বাংলদেশে তাদের অধীনে রয়েছে দুটি ওয়ার সিমেট্রি। একটি চট্টগ্রামে, অন্যটি কুমিল্লায়। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এবং ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতালের কাছেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ৪০০টি সমাধি নিয়ে এই ওয়ার সিমেট্রি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে সর্বমোট ৭৫৫ টি সমাধি রয়েছে এর মধ্যে ১৭টি সমাধির কোনো পরিচয় জানা যায়নি। এই সমাধিতে বিভিন্ন দেশে যেমন যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ডস, জাপান, অবিভক্ত ভারত,পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা ইত্যাদি দেশের জাত ও ধর্মের সৈনিকদের সমাধি রয়েছে।এসব সমাধিতে শায়িত আছেন ৫২৪ জন সৈনিক, ১৯৪ জন বৈমানিক এবং ১৩ জন নাবিক।এছাড়া ১৯৩৯-১৯৪৫ সালে সলিল সমাধি হওয়া ৬৫০০ জাহাজের নাবিক ও সীম্যান-দের স্মৃতির উদ্দ্যেশে একটি মেমোরিয়াল রেজিস্টার রয়েছে। যাদের পৃথিবীর মাটিতে সমাধিস্ত করা যায়নি।

এই সিমেট্রির মাঝখানে অষ্টভুজ ভিত্তিতে স্থাপন করা কমনওয়েলথ যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ক্রস অফ স্যাক্রিফাইস রয়েছে। যা মূলত ব্রোঞ্জের লংসওয়ার্ড ব্লেড ডাউন করে বানানো। ইম্পেরিয়াল ওয়ার গ্রেভস কমিশনের (Imperial War Graves Commission - IWGC) জন্য স্যার রেজিনাল্ড ব্লমফিল্ড ১৯১৮ সালে এটি নির্মাণ করেন। যা বিশ্বজুড়ে ৪০ টির বেশি কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি স্মৃতিসৌধ হিসাবে রয়েছে।

দর্শনার্থীদের গ্রীষ্মকালে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত তবে শীতের মৌসুমে এ সময়সূচির কিছুটা পরিবর্তন ঘটে থাকে।

এটি একটি সমাধি ক্ষেত্র তাই পরিবেশ নীরব থাকা কাম্য। এছাড়া ডি এস এল আর ক্যামেরা দিয়ে মডেল ফটোশুট এবং বসে আড্ডা দেয়া নিষেধ।তবে ডক্যুমেটারি জন্য বিশেষ অনুমুতি নিয়ে করা যেতে পারে। পরিশেষ বলতে চাই চটগ্রাম এ প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত অত্যন্ত শান্ত এই কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি সকালে অপার্থিব সুন্দর লাগে। যদিও যেকোনো সময়েই এটি সুন্দর।

12 Likes

Superb writing , @piead many many thanks for share this post with us.

You can view my post , i also try to write something about Christian Cemetery

I hope you like.

Love from Old Dhaka.

1 Like

@sweetnovember99 Thank you.

1 Like