প্রিয় লোকাল গাইডস, আসসালামু আলাইকুম।
একজন লোকাল গাইডের পাশাপাশি আমি নিজ দেশের এবং বিভিন্ন দেশের ব্যাংকনোট সংগ্রহ করতে পছন্দ করি। নিকট আত্মীয়, বন্ধু, অফিসের কলিগ, এবং পরিচিতদের কেউ দেশের বাইরে গেলে এবং বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় তাদেরকে অনুরোধ করি যেন সেই দেশের ব্যাংকনোট নিয়ে আসে। এরপর আমি সেগুলো এক্সচেঞ্জ করি এবং কালেক্ট করি। তবে আজকে আমি বাংলাদেশের স্মারক ব্যাংকনোট নিয়ে কিছু কথা বলতে এসেছি!
বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন মূল্যমানের ব্যাংকনোট প্রচলিত রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, দিবস বা পূর্তি উপলক্ষে ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন মূল্যমানের স্মারক মুদ্রা বা স্মারক নোট (বিনিময় যোগ্য নয়) অবমুক্ত করে আসছে। আজ আমি আমার সংগ্রহে থাকা বাংলাদেশের স্মারক ব্যাংকনোটগুলো আপনাদের শেয়ার করতে যাচ্ছি-
- ২৫ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ এর রজত জয়ন্তী, ১৯৮৮-২০১৩ উপলক্ষে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৪০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর, ১৯৭১-২০১১ পূর্তি উপলক্ষে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ১৯৭১-২০২১ উপলক্ষে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০২২ সালে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ২০২২ সালে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ২০২৩ সালে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৬০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর, ১৯৫২-২০১২ পূর্তি উপলক্ষে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৬০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর, ১৯৫২-২০১২ পূর্তি উপলক্ষে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ৭০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে ২০১৮ সালে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ১০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ, ১৯১৩-২০১৩ পূর্তি উপলক্ষে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
- ১০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট (পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ২০২২ সালে এই স্মারক নোট অবমুক্ত করা হয়)
যাইহোক, একজন মুদ্রা ও ব্যাংকনোট ইতিহাসে আগ্রহী হিসেবে বাংলাদেশের স্মারক ব্যাংকনোটগুলো সত্যিই অনেক শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ক বিষয়। চলুন, নিজে স্মারক ব্যাংকনোট সংগ্রহ করি এবং অন্যকেও সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
চাইলে এই পোস্টটি পড়তে পারেন: একদল সংগ্রাহকদের সঙ্গে টাকা দিবস ২০২৫ উৎযাপন
#HappyCollecting #HappyGuiding