Caption: #photo1 After entering, this is exactly how I see the mosque in front of my eyes,
উত্তরবঙ্গের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ভ্রমনের এবারের পর্বে পরিচয় করিয়ে দিবো ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দের এক জমিদার বাড়ির মসজিদ এর সাথে।
ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ। ঠাকুরগাঁওয়ের ৫টি উপজেলায় ছড়িয়ে থাকা অনেক পুরাকীর্তির থাকলেও ২৪০ বছরেরও অধিক পুরাতন জামালপুর জমিদার বাড়ির এই মসজিদটি অন্যতম। এর নির্মাণশৈলী ও অপূর্ব কারুকাজ মুগ্ধ করে যেকোনও মানুষকে।
১৭৮০ শতাব্দীতে মসজিদটির ভিত্তি স্থাপন করেন তৎকালীন জমিদার আব্দুল হালিম চৌধুরী। আমরা যখন জমিদার বাড়ির প্রবেশ পথে পৌছাই তখন অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করে মসজিদ টি দেখার সাথে সাথে যেন অন্যরকম এক প্রশান্তি খেলে যায়। আমরা প্রায় ঘন্টা খানিক অবস্থান করি এবং দু রাকাত সালাত আদায় করি। এখানে ওযু এর ব্যাবস্থা যেমন আছে সাথে টয়লেট এর সু ব্যাবস্থা ও আছে। তবে একটা বিষয়ে খুব খেয়াল রাখবেন মসজিদ এর পাশেই জমিদার বাড়ি যেখানে কিনা অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।
Caption: #photo2 I swear the exquisite craftsmanship of the mosque will catch your eye,
Caption:#photo3 Bullock cart is an attached picture with Zamindar’s vehicle workshop,
Caption: #photo4 A picture of me at the very entrance of the mosque
Caption: #photo5 I am Mohammed Palash on the balcony of the mosque
Caprion:#photo6 The entrance gate of the zamindar house is next to the main road
এবার চলুন জমিদার বাড়ি মসজিদের ইতিহাস স্থাপনা নিয়ে ঠাকুরগাও জেলা প্রসাশনের বরাতে টুকিটাকি কিছু তথ্য জেনে নিই। ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। মসজিদ অঙ্গনে প্রবেশমুখে বেশ বড় সুন্দর একটি তোরণ রয়েছে। তাজপুর পরগনার জমিদারবাড়ি থেকে রওশন আলী নামক এক ব্যক্তি এ অঞ্চলে আসেন। তাঁরই বংশধররা পরবর্তীতে এখানে জমিদারী পান। ১৮৬২ সালে জমিদারবাড়ির ভিত্তি স্থাপন করা হয়। বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১৮৬৭ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ফলে মসজিদের ব্যয়বহুল নির্মাণ কাজ শেষ হলেও জমিদার বাড়িটির নির্মাণ অসমাপ্ত থেকে যায়।মসজিদটির শিল্পকলা দৃষ্টিনন্দিত, মনোমুগ্ধকর ও প্রশংসাযোগ্য।মসজিদে বড় আকৃতির তিনটি গম্বুজ আছে। গম্বুজের শীর্ষদেশ কাচ পাথরের কাজ করা। এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো মিনারগুলো। মসজিদের ছাদে আটাশটি মিনার আছে। একেকটি মিনার ৩৫ ফুট উঁচু এবং প্রতিটিতে নকশা করা রয়েছে। গম্বুজ ও মিনারের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে অপূর্ব সৌন্দর্য। এত মিনার সচরাচর কোন মসজিদে দেখা যায় না। মসজিদটির চারটি অংশ হলো মূল কক্ষ, মূল কক্ষের সঙ্গে ছাদসহ বারান্দা, ছাদবিহীন বারান্দা এবং ছাদবিহীন বারান্দাটি অর্ধ প্রাচীরে বেষ্টিত হয়ে পূর্বাংশে মাঝখানে চার থামের উপর ছাদ বিশিষ্ট মূল দরজা। খোলা বারান্দার প্রাচীরে এবং মূল দরজার ছাদে ছোট ছোট মিনারের অলংকার রয়েছে। মূল কক্ষের বাইরের দিক থেকে পরিমাপ হচ্ছে ২৯×৪৭ ফুট এবং ছাদবিহীন বারান্দার পরিমাপ ২১×৪৭ ফুট। মূল কক্ষের কোণগুলো তিন থাম বিশিষ্ট। এর জানালা দুটি, দরজা তিনটি, কুলুঙ্গি দুটি। মসজিদটির ভিতরে দরজায়, বারান্দায় এবং বাইরের দেয়ালগুলোতে প্রচুর লতাপাতা ও ফুলের সুদৃশ্য নকশা রয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের হংসরাজ এবং তার পুত্র রামহিৎ মসজিদটির মূল কারিগর। দ্বারভাঙ্গা এলাকার কারিগরেরাও নির্মাণ কাজে অংশ নেয়!
আপনি কিভাবে যাবেন
:ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ।সি এন জি ভ্যান এবং অটো তে করে খুব সহজেই যেতে পারবেন।
মনে রাখবেন
আপনি যেখানেই ভ্রমন করুন নাহ কেনো স্থানীয় দের সম্মান করবেন। অপচনশীল বর্জ্য প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলে আসবেন নাহ। পরিবেশ এর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
Google maps https://maps.app.goo.gl/aMCHf59eVbfMjUpr5
BDLG #BangladeshLocalguide #Localstory #Travel #Localguideconnect #Letsguide