পুরো বিশ্বের বাংলাদেশের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান যে রকম ছোট দেখায়। সেরকম একটি উপজেলার নাম লোহাগাড়া। এটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বেড়াতে আসলে আপনি যে কোন বাসের কাউন্টারে আমিরাবাদ বা লোহাগাড়ার টিকিট নিবেন। তবে আমিরাবাদ শব্দটা প্রসিদ্ধ এবং সবছেয়ে বেশি ভালো হয় সৌদিয়া পরিবহনে আসলে। কেননা সৌদিয়া পরিবহনের মালিকের বাড়ি এই লোহাগাড়ায়।
বাস কাউন্টারে নেমেই আসেপাশে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল দেখতে পাবেন। আবাসিক হোটেলের ভাড়াগুলো বাজেট ফ্রেন্ডলি বলা চলে। যেমন: সৌদিয়া আবাসিক হোটেল, এম.কে আবাসিক হোটেল, মিডনাইট আবাসিক হোটেল ইত্যাদি।
তবে অত্র উপজেলায় জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতেও থাকা যাবে। যেখানে এসসি বা নন এসি দু’ধরনের রুম পাবেন। খরচও খুব কম।
সকাল বা বিকালের নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবারের জন্য বেশ কিছু উন্নতমানের হোটেল-রেস্তোরা রয়েছে। যেখানে ঐতিহ্যবাহী খাবার, চাইনিজ বা সাধারণ সহ কন্টিনেন্টাল খাবার পাওয়া যায়। যেমন: ইনসাফ রেস্তোরা, হালাল ডাইন, বাঙ্গালিয়ানা, নবাবী, ফোর সিজন কিংবা মিডওয়ে ইন অন্যতম।
উপজেলা হিসেবে ছোট হওয়ায় তেমন কোন দর্শনীয় নেই। যা আছে তা খুবই অপ্রতুল্য। যেমন: বহুমুখী কৃষি রাবার ড্যাম, সিপিএম ইক্যুভেঞ্জার, চাম্বি লেক, চুনতি বণ্যপ্রানীর অভয়রান্য সহ ইত্যাদি
তবে কোন বিদেশী আমি সর্বপ্রথম খাবার হিসেবে ঐতিহ্যবাহী একটা খাবারের নাম #মোচা। আমি অবশ্য সেটি পরিবেশন করবো। কেননা এটি একটি পরিবেশনের ধরনই আলাদা। কলাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে গরম ভাত, মাছ, মাংশ, প্রায় ১০/১২রকমের ভর্তা, মুরগির পোলাও দিয়ে পরিবেশন করা হয়। যেটি খুবই গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের আপ্যায়নের মাধ্যেম হিসেবে বিবেচ্য। সাথে দেশিয় পিঠাপুলির আয়োজন থাকবে। যেমন: চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গুরা পিঠা, চই পাক্কন, চেইন্না পিটা সহ ইত্যাদি।েআর বেড়ানো কথা বল্লে, সর্বপ্রথম এশিয়ার বৃহত্তম একমাত্র বৃহত্তর বন্যপ্রানীর অভয়ারন্য হিসেবে খ্যাত এবং আন্তজাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত চুনতির বন্যপ্রানীর অভয়ারন্যতে বেড়াতে নিয়ে যাবে।
১৯ হাজার ১৭৭ একর বা ৭৭৬৬ হেক্টর জুড়ে রয়ে হাতি, বানর, বন্য শুকর, সাম্বার, হনুমান, মায়া হরিণ ছাড়াও এই চুনাতি অভয়ারণ্যে অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে আছে ৪ প্রজাতির উভয়চর, ৭ প্রজাতির সরীসৃপসৃ , ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৩ প্রজাতির পাখি এবং প্রায় ১০৭ প্রজাতির বৃক্ষবৃ রাজির বিশাল বনভূমি। পর্যটকর্য দের জন্য লোহাগাড়ার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকায় আছে প্রাকৃতিক গর্জনর্জ বনাঞ্চল, বনপুকুর, গয়ালমারা প্রাকৃতিক হ্রদ, জাঙ্গালীয়া ফুটট্রেইল, বনপুকুর ফুটট্রেইল, গোলঘর, পর্যবের্য ক্ষণ টাওয়ার, নেচার কনজারভেশন সেন্টার, গবেষণা কেন্দ্র, ইকোকর্টেজ, ষ্টুডেন্ট ডরমিটরী এবং ৮ জন প্রশিক্ষিত ট্যুর গাইড। পর্যবেক্ষন টাওয়ার থেকে এই অভয়ারণ্যের অপূর্ব প্রা র্ব কৃতিক সৌন্দর্য এর্য বং বনের পশুপাখির অবাধ
বিচরণের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
আমাদের এখানে প্রায় ২০৪বছর আগে স্থাপিত একটি মাদরাসা রয়েছে যার নাম চুনতি হাকিমিয়া কামিল এম.এ মাদরাসা এবং ৩০০, ৪০০, ৬০০ বছর আগে স্থাপিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও আছে।
এখানে অলিকুলের শিরোমনি হযরত শাহ শাহেব হুজুর, মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সংগীত শীল্পী নকিব খান, নৃত্যশিল্পী বুলবুল আহমেদ সহ অনেক ব্যাক্তির নিজবাড়ী।
#meetup200