লাকসাম উপজেলা কুমিল্লা জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ১৯৮২ সালে লাকসাম পৌরসভায় উন্নিত হয়।লাকসাম ডাকাতিয়া নদীর কোলগেশে একটি পরিছন্ন শহর।
লোকাল অথবা বিদেশী পর্যটক যদি লাকসাম বেড়াতে আসেন সেই দিক থেকে আপনি লাকসামের বিখ্যাত কিছু স্থান আর খাবারের বর্ননা তুলে ধরব।
লাকসাম জংশনঃ
১৮৯৩ সালে ৩০০ একর ভুমির উপর বৃটিশ শাসন আমলে দেশের অন্যতম এই জংশন নির্মাণ করা হয়। এই জংশনে চারটি প্লাটফর্ম আছে, লাকসাম- ঢাকা, লাকসাম- চট্রগ্রাম, লাকসাম- নোয়াখালী, লাকসাম- চাঁদপুর, এই স্টেশন থেকে যেতে পারবেন। এই জংশনের পার্শের লেক, খোলা মাঠ আপনার মন জুড়িয়ে যাবে।
মঈশান বাড়িঃ
লাকসামের সিংহ পুরুষ জমিদারী অতুল কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর বাড়ি এটি। লাকসামের অনেক স্থাপনা উনি নির্মাণ করেন।১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় উনি স্থায়ী ভাবে কলকাতায় চলে যান। এবং কলকাতার এক মুসলিম পরিবার এই বাড়ি গ্রহণ করেন। অসাধারণ এক স্থাপনা, বাড়ির সামনে স্বচ্ছ পানির সান বাধানো পুকুর ঘাট। লাকসাম শহরের ৬০০ মিটার পুর্বে এই বাড়ী অবস্থীত।
নবাব ফয়েজুন্নেসা হাউজঃ
এই উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব ছিলেন নবাব ফয়েজুন্নেসা চৌধুরী। ১৮৩৪ সালে লাকসামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। শিক্ষা এবং জনহিতকর কার্যে এই উপমহাদেশে নবাব ফয়েজুন্নেসা চৌধুরীর নাম স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে। ১৯০৩ সালে ডাকাতিয়া নদীর পার্শে উনি এই বাড়ি নির্মাণ করেন। ১৯০৩ সালে তিনি মৃত্যু বরন করেন। ফয়েজুন্নেসা হাউজ অসাধারন নির্মান শৈলী। এখানে আসলে দেখতে পাবেন, উনার কাচারি ঘর, জামে মসজিদ, লাকসাম সরকারি কলেজ।
দুধ মালাইঃমালাইঃ
লাকসামে অনেক বিখ্যাত খাবার পাবেন। কুমিল্লার রসমাই দেশ বিখ্যাত। লাকসামের আনন্দ মিস্টান্ন ভান্ডারের দুধ মালাই অসাধারণ এক সৃষ্টি। দুধের সানার গোল্লার সাথে হালকা মিস্ট আর ঘন দুধের রসে ডুবানো থাকে এই দুধ মালাই, মুখে নিলেই এক অন্য রকম স্বাদ।
তাছাড়া লাকসামের মানুষের আন্তরিকতা এবং আতিথেয়তা আপনার মন জুড়াবে।
সকলের প্রতি লাকসামে আমন্ত্রণ রইল।