Bangladesh Challenge Champaign Top-100 Nayem Mahmud

বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনের ম্যাপিং কার্যক্রমে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৮নং মঠবাড়িয়া পৌরসভার বাসিন্দা নাঈম মাহমুদ অবদান রাখায় শীর্ষ ১০০ জন তরুণের মধ্যে স্থান করে নেয়ার এবং মঠবাড়িয়া একমাত্র বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। রোববার ২১ জুন বিকাল সাড়ে ৩ টায় তার এ সফলতার কারণে ক্যাম্পেইনের সমাপনি অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার নামসহ শীর্ষ ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে পুরস্কার প্রদান করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই এবং গুগলের সমন্বয়ে গ্রামীণফোনের উদ্যোগে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনে অবদান রাখা শীর্ষ ১০০ জন তরুণের মধ্যে স্থান করে নেয়ায় ডিজিটাল ম্যাপিং কার্যক্রমের সমাপনি অনুষ্ঠানে নাঈম মাহমুদ নাম উল্লেখসহ বলেন, শীর্ষ ১০০ জন এটুআই এর সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ দেশ বরেণ্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। নাঈম মাহমুদ এর আগে সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। নাঈম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের মত এইরকম একটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পেরে এবং টপ ১০০ তে থাকতে পেরে অনেক আনন্দিত। এইজন্য আমি সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই এই প্রোগ্রামের তথা বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের আয়োজকদের। বিশেষ করে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রতিমন্ত্রী মহোদয় জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যারকে আমাদেরকে অনুপ্রেরণা এবং পাশে থেকে সমর্থন দেয়ার জন্য। আমি এরকম একটা আয়োজনে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এখানে পুরস্কার মুখ্য বিষয় নয়। আমার কাজের মধ্যে দিয়ে যে মানুষ উপকৃত হচ্ছে বা দেশের যে উপকার হচ্ছে সেটাই মুখ্য বিষয়। অর্থাৎ আমি যে কাউকে সাহায্য করতে পারছি সেটাই বড় বিষয়। পাশাপাশি বিশ্বের ভার্চুয়াল মানচিত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান গুলিকে নতুন রূপে যুক্ত করতে পেরে সত্যিই আমি অনেক আনন্দিত। সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, গ্রাম ও শহরাঞ্চলের নাগরিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি এবং ই-কমার্স ডেলিভারি এজেন্টদের ম্যাপ দেখে নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে বের করার সহায়তায় গুগল ম্যাপস এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ আরও সমৃদ্ধ করতে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ নামে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমে প্রায় ৩১ হাজার নিবন্ধণের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার ম্যাপ পোস্ট পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ফেইসবুকে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়নের বেশি রিচ এবং ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়নের বেশি ইমপ্রেশন পাওয়া গেছে।

সারা বাংলাদেশের তরুণরা বাড়িতে অবস্থান করেই এই পুরো ম্যাপিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাপিং কার্যক্রমে অবদান রাখা শীর্ষ ১০০ জন তরুণকে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে দুই মাসের জন্য ১০ জিবি (৫ জিবি ৩০ দিন + ৫ জিবি ৩০ দিন) ইন্টারনেট দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে শীর্ষ ২০০ জন ম্যাপার এটুআই-এর ‘একশপ’ প্লাটফর্মের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। সেই সাথে ৩১ হাজার রেজিস্টার্ড ম্যাপারকে ই-সার্টিফিকেট দেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এ ক্যাম্পাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫,০০০ হাসপাতাল, ১৬,০০০ ফার্মেসি এবং ২০,০০০ মুদি দোকান সন্নিবেশিত করার পাশাপাশি ৮৭০টি রাস্তা ম্যাপে যুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল ম্যাপ হালনাগাদ করার কারণে ই-কমার্স ডেলিভারি সুবিধা তৈরির সাথে সাথে অসংখ্য নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের দূরত্ব কমিয়ে আনতে এই ম্যাপিং কাজে লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদে জাতিকে নানাভাবে সহযোগিতা করবে।

3 Likes

congratulation @nayemmahmud

2 Likes

Thanks @Wisnusetiono

Congratulations :confetti_ball: :tada: :confetti_ball:

1 Like