জানুয়ারীর ৪ তারিখ সকাল আটটার দিকে আমরা কয়জন বন্ধু মিলে প্রথমবারের মতো আগারগাঁও মেট্রো স্টেশন থেকে দিয়াবাড়ি যাওয়ার চিন্তাভাবনা করি। বলে নেয়া ভালো, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম একটি মেট্রোরেল লাইন, জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। যা প্রাথমিক পর্যায়ে সকাল ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনে ২০০ জন যাত্রী চলাফেরা করতে পারবে এবং কোচ রয়েছে ৬ টি। স্টেশনগুলো তিনতলা বিশিষ্ট। ২য় তলায় টিকেট কাউন্টার ও ৩ তলায় মেট্রোরেল লাইন যেখান থেকে ট্রেনে উঠতে হয়। উপরে উঠানামার জন্য রয়েছে চলন্ত সিড়ি। প্রবীন, অসুস্থ এবং শারিরীক প্রতিবন্ধি ব্যাক্তিদের জন্য লিফটের ব্যাবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশে এই প্রথম মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সবাই প্রাথমিক অভিজ্ঞতার জন্য হুমরি খেয়ে পরে, সাংবাদিক, ব্লগার থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্টেশনের সামনে টিকেট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাড়াতে হয়। আমরা সকাল সকাল স্টেশনে পৌছাই এবং প্রচন্ড শীত থাকায় সেদিন স্টেশন একদম ফাকা পাই। আমরা লিফট দিয়ে উপরে উঠে যাই আমাদের এক বন্ধু কাউন্টারে গিয়ে সবার টিকেট সংগ্রহ করে।
টিকেট পাঞ্চ করে উপরে চলে আসি এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের দরজা খুলে গেলে আমরা সবাই একে একে উঠে পরি। ট্রেন ছাড়ার পর সবাই খুব এক্সাইটেড ছিলাম। শহরের উপর দিয়ে শীতকালে সর্বোচ্চ ১০০ স্পিডে আমাদের ট্রেনটি ছুটতে থাকে। সবাই ভিডিও করা এবং ফটোশুটে ব্যাস্ত হয়ে পরে। আসলে বাংলাদেশে এরকম একটা সার্ভিস একদম অকল্পনীয় ছিলো। তাই সর্বস্তরের জনগন মেট্রোরেলে উঠার জন্য প্রতিদিন ভির জমাতে থাকে। যেখানে আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পৌছাতে ২ ঘন্টা লেগে যেতো সেখানে ১০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায়। যা রেগুলার যাত্রীদের জন্য বিশাল সুবিধা। সময় এবং দীর্ঘ জার্নির কষ্ট দুইটাই কম। এম আর টি কার্ড করার সুব্যবস্থা রয়েছে যাতে করে টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাড়াতে না হয়৷ কার্ড দেখিয়ে অনায়াসে স্টেশনে প্রবেশ করা যাবে।
আমরা উত্তরা পৌঁছে স্টেশনের নিচেই মেট্রো কিচেন নামে একটা রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা করি। অনেক মজাদার খাবার ছিলো। তারপর রিকশা করে দিয়াবাড়ির পঞ্চবটি লেকে অনেকক্ষন ঘুরাঘুরি করি, ছবি তুলি এবং ১১.৩০ মিনিটে আবার উত্তরা মেট্রোস্টেশনে ফিরে আসি।
স্টেশনে পৌছে আমরা অনেক যাত্রীদের সমাগম দেখতে পাই যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে টিকেটের জন্য। আমরাও একটা লাইনে দাঁড়িয়ে পরি এবং ৫ মিনিটের মধ্যে স্টেশনে গিয় টিকেট সংগ্রহ করে আবার মেট্রোরেলে আগারগাঁও ফিরে আসি ৷ তারপর যে যার নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাই।
আমাদের প্রথম মেট্রোরেল অভিজ্ঞতা এককথায় অসাধারণ ছিলো। আমরা একি দিনে দুইবার মেট্রোরেলে চড়ি। আসলে জন সাধারনের কথা চিন্তা করে সময় অপচয় কমিয়ে আনার জন্য এই অসাধ্য সাধন করায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।
ধন্যবাদ ভাইয়া । ফ্রি হয়ে ঘুরে আসুন মেট্রোরেলে ভালো লাগবে। আর আপনি মনে হয় পোস্টটি ভালো ভাবে পড়েননি। সব ডিটেইলস লিখে দিয়েছি। টিকেটের জন্য আমাদের লাইনে দাড়াতে হয়নি। একজন ফ্রেন্ড গিয়ে সবার টিকেট একদম কর্নারের এক কাউন্টার থেকে কেটে নিয়ে আসছে। অনেক গুলো কাউন্টার রয়েছে। @NasimJ
Masha Allah, it’s such a great joy to read through your post- @TajkiyaNijami .beautiful pictures, and your cover photo is gorgeous. Thanks for sharing with us dear Nijami .
@TajkiyaNijami আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণগল্প পড়েই আমার অর্ধেক মেট্রোরেল ভ্রমণ হয়ে গেছে। বাকি অর্ধেক কোনএকদিন আমার লাইফ পার্টনারকে নিয়ে ঘুরে আসবো ইনশাআল্লাহ। আমি সর্বদাই শেষদিকে সব কিছুর অভিজ্ঞতা নেই। সবার যেখানে শেষ আমার সেখানে শুরু