A Trip To Bandarban | বগালেক টু কেওক্রাডং ট্র্যাকিং ।

আমাদের পুরো ট্যুর প্ল্যান:

ঢাকা-বান্দরবন-রুমাবাজার-বগালেক-দার্জিলিং পাড়া-কেওক্রাডং

বান্দরবান যাওয়ার আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বগালেক এবং কেওক্রাডং ভ্রমণ করা । আর বগালেক থেকে কেওক্রাডং পর্যন্ত ট্র্যাকিং করা ।

আমাদের গাইড ছিল প্রকাশ দাঁ ।
Prokash Da- 01887659360

আমরা রাতের বাসে করে আমাদের ভ্রমণ শুরু করি হানিফ বাসে । একদম সকাল সকাল আমরা বান্দরবান বাস টার্মিনালে পৌঁছে যাই ।

সেখান থেকে আমরা আমাদের আগে থেকেই রিজারব রাখা চাদের গাড়ি করে বগালেকের উদ্দেশ্য রওনা দেই । সকালের সূর্যের দেখা মিলে চাঁদের গাড়িতেই । আর আকা বাকা রাস্তা ধরে মেঘের উপরে পৌঁছে গেলাম অনেক বার । সকাল ৬ টার দিকে আমরা রুমা বাজার পৌঁছে যাই ।

নাস্তা শেষ করে আগে থেকে ঠিক করা গাইডের (প্রকাশ দাঁ) সাথে কথা বলে আর্মি ক্যাম্প থেকে পারমিশন নিয়ে নেই । তারপরে প্রকাশ দাঁ এর সাথে রুমা বাজার থেকে বাজার আর ট্র্যাকিং সু কিনে নেই । পরে আবার চাঁদের গাড়ি করে যাত্রা শুরু করি । মাঝ পথে কয়েকটা আর্মি ক্যাম্পে Form Fill আপ করতে হয়েছিল ।

দুপুরের দিকে আমরা বগালেক চলে যায় । উঠি সিয়াম দিদি এর কটেজে । কটেজ ছিল লেক ভিও তে। গোসল করি লেইকে । দুপুরের খাবার সিয়াম দিদি এর দোকানে করি আর রাতে আমারা নিজেরাই আয়োজন করি ।

পর দিন একদম সকালে আমরা কেওক্রাডং এর উদেশ্যে ভ্রমণ শুরু করি নাস্তা নিয়ে । নাস্তা করি চিংড়ি ঝরনা এর সামনে । এর পরে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করি ।

দার্জিলিং পাড়া তে যাই এর পরে কেওক্রাডং । কেওক্রাডং গিয়ে নাস্তা করে রেস্ট নিয়ে চলে যাই ঘুরতে । সূর্য অস্থ আর সকালের সূর্যদয় ।

মেঘের উপরে থেকে পাহাড় আর প্রাকৃতিক সুন্দরয । অনেক ভাল ছিল অভিজ্ঞতা ।

রাতে আড্ডা গান আবার সকালে সেই একই পথ ধরে হাটা , দার্জিলিং পাড়া নাস্তা করেই আবার হাটা শুরু । একদম চিংড়ি ঝরনা তে এসে গোসল ।

এর পরে আবার বগালেক এ এসে দুপুরের নাস্তা করেই আবার সেই চাঁদের গাড়ি করে যাথা শুরু বাড়ি ফিরার পথে । রুমা বাজার আর্মি ক্যাম্পে এসে সাইন করে চলে আসলাম চাঁদের গাড়ি করে বান্দবান বাস টার্মিনালে । এর পরে শ্যামলী বাসের টিকিট কেটে সোজা ঢাকা ।

শ্যামলী বাসের অভিজ্ঞতা ছিল খুব বাজে । সিট ভাল ছিল না । তার মধ্যে বাসের অবস্তা নাজেহাল । আমাদেরকে বলা হয়েছিল নতুন বাস আসত কিন্তু ওইটাতে সমস্যা থাকায় এই বাস , এইটা নাকি চালায় না তারা । কিন্তু রাতে কুমিল্লাতে যাত্রা বিরত তে থামলে ঐ খানে সব শ্যামলীর বাস ছিল আর প্রতিটা বাসের অবস্থাই সেইম । তখন বুঝলাম এরা এমনই করে । আমার বেশি খারাপ লেখেছে কারন সিট এমনই A1-A2 , তার মধ্যে গাড়ি ব্রেক করলে সিট খুলে সামনে চলে যায় । আর একদম সামনে হওয়া তে পা দিয়ে কোথাও আটকিয়ে রাখতেও পারতেছিলাম না । সাঁরারাত যেগেই থাকতে হয়েছিল ।

সর্বোপরি , অনেক ভাল ছিল বান্দরবান ভ্রমণ ।

16 Likes

খুব ভালো একটা ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন।

1 Like