অনেক অপেক্ষার মিটাপ ছিলো, করোনা পরিস্থিতির কারনে আরো ২ মাস আগে হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়েছে গত ১১ জুন শুক্রবার।
আমার বাড়ি থেকে মিটাপ পয়েন্ট ছিলো প্রায় ৭০ কিলোমিটার দুরে আর জায়গাটা ছিল মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এ যেখানে পর্যটক এবং ভোজন প্রিয়দের ভির লেগেই থাকে,
তো সারা দিন এর জন্যই সকালে বের হয়েছি মিটাপে অংশ গ্রহন করার জন্য।
কিভাবে যাব সেই প্লান টা আরো এক সাপ্তাহ আগে থেকেই করতে ছিলাম, আমার সাথে সংগী ছিলো আরো ৬ জন যারা গাজিপুর থেকে যাত্রা শুরু করি, সকালে বৃষ্টি ছিলো অনেক তার পর ও আমরা সবাই উত্তরাতে একত্রিত হই সকাল ৯ টার আগে, এর পর বাসে করে মাওয়া পৌছাতে আমাদের সকাল ১০:৩০ এর মত বেজে যায় পদ্মা নদীর তীরে পৌঁছাতে।
আমাদের আগেই প্লান ছিলো যেহেতু মিটাপ টাইম বিকেলে সেহেতু আমরা সকালে গিয়ে নৌকা তে করে পদ্মা ব্রিজ দেখবো। তাই নেমে আরো ৪ জন লোকাল গাইড কে পেয়ে যাই লঞ্চ ঘাটে সেখান থেকে একটি নৌকা রিজার্ভ করে ৩০ মিনিট নৌকাতে ঘুরে দেখি।
নৌকা ভ্রমন শেষে আবার পদ্মা নদীতে গোছল করে স্থানিয় একটি রেস্টুরেন্টে ইলিশ অডার করে দুপুরের খাওয়া খেয়েছি।
মেনু ছিলো
- ইলিশ ভাজা
- বেগুন ভাজা
- ইলিশ লেজের ভর্তা
- সাদা ভাত
- ডাউল
- সালাদ
এরি মধ্যে মিটাপের সময় হয়ে যায়
খাওয়া শেষে মিটাপ পয়েন্ট প্রজেক্ট হিলশায় চলে আসি,
মিটাপে প্রবেশের পুর্বে টিসার্ট আর ব্যাগ রিসিভ করে আমরা ভ্যানুতে প্রবেশ করি,
শুরুতে আমরা কিছু সময় পেয়েছি ছবি তোলার জন্য এই সুজুগে গ্রুপ ছবি এবং ভ্যানুর ছবি আর নিজেরা নিজেরা সেল্ফি তোলতে থাকি এবং মিটাপের মুল পর্ব শরু হয় রেস্টুরেন্টের ২য় তলায় যেখানে আমাদের মিটাপের জন্য আলাদা করে জায়গা বুক করা ছিলো
শুরুটা হয় সম্মানিত হোস্ট এর আলোচনা দিয়ে, তিনি বর্ননা করেন কিভাবে মিটাপ টা সফল করার পিছনে কাজ করেছেন তিনি সহ আয়োজক টিম।
এর পর একে একে সম্মানিত কয়েক অতিথি ছোট করে আলোচনা করেন।
এই মিটাপ টা ছিলো বাংলাদেশ লোকাল ৭ম বর্ষপূর্তি মিটাপ গত ৭ বছরে কমিউনিটির জার্নি কেমন ছিলো তা নিয়ে কিছু সৃতিচারণ করেন গ্রুপ এডমিন সজল দাদা এবং কমিনিটির যে কোন প্রোগ্রাম কে যিনি প্রানবন্ত করে রাখেন সেই যোবায়ের ভাই।
এর পর নাস্তার টাইম দেয়া হয়
নাস্তা শেষে আরো কিছু আলোচনা হয় এবং গ্রিন এনার্জি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন করা হয়
একেবারে শেষের দিকে গ্রুপ ছবি তোলার সেশন। এ সময় ভিতরে অন্য কোন গেস্ট ছিলো না আমরা গ্রুপ ছবি তোলি এবং রেস্টুরেন্টের ভিতরে বিভিন্ন পয়েন্টে ছবি তোলি
একেবারে শেষের দিকে প্রজেক্ট হিলশা রেস্টুরেন্টের খাবার পার্শ্বেল বেগে করে আমাদের গিফট করা হয় এবং মিটাপের সমাপ্তি
মিটাপ পয়েন্ট থেকে বের হয়ে আমরা আবার বাস স্টেন্ডে গিয়ে চা খেয়ে বাড়ি ফিরার বাসে উঠি