এক পাঁচ শূন্য ! ১ ৫ ০ ! 1 5 0 (একশত পঞ্চাশ রহস্য)

[লালাখাল,জাফলং ; অপার্থিব সৌন্দর্যের আঁধার]

এক!
পাঁচ!
শূন্য!

উপরের তিনটি শব্দ গাণিতিক।কথায় লিখেছি।অংকে লিখলে হয় ১৫০!

আর এখন ১৫০ এর ব্যবচ্ছেদ করবো!

ও হ্যাঁ,

রহস্য না করে ১৫০ এর ব্যাপারটা আগে ক্লিয়ার করি।এটি মূলত বাংলাদেশ লোকাল গাইড আয়োজিত ১৫০ তম মিটআপ।যা সিলেট বিভাগের জাফলং -এ অনুষ্ঠিত হয়।

এই একশত পঞ্চাশ আমার জীবনে বেশ কিছু অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে।

আর দুই বৃদ্ধাআঙুল নাড়িয়ে মোবাইল কিবোর্ডে স্টোরি টেলিং করছি আমি শাহাদাত হোসেন!

একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাই আগে,

পল্টন,ঢাকা
নভেম্বর ৩০
রাত ১১.১৩

ফেসবুকে স্ক্রল করছিলাম,তখন মাহবুব ভাইয়ার পোস্ট এনাউন্সমেন্ট পেলাম ১৫০ তম মিটআপ নিয়ে।আর তার রিকোয়ারমেন্ট ছিলো Oct-Nov-Dec মিলিয়ে কানেক্ট ফোরামে মিনিমাম দুটি পোস্ট।

নড়ে চড়ে বসলাম,মাইন্ড সেট করলাম…
টপিকস খুঁজো পোস্ট লিখো,মিটআপে সুযোগ নাও…

ফেনী (হোমটাউন)
ডিসেম্বর ৫
রাত ১০.৪৫

আজও পোস্ট টার্গেট ফুল ফিলড করতে পারিনি।তাই চিন্তিত।আমি আবার ভুল বুঝে ভেবেছি তিনটি পোস্ট।ততক্ষণে মাথার চুল ছেঁড়ার দশা।তাড়াহুড়ো করে লিখে ফেললাম।তিনটি পোস্টই ডিসেম্বর ৫ তারিখ কানেক্টে পাবলিশড করি।

আর তখন বাজে রাত ১০.৪৫!
ডেডলাইন থেকে ১ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে!

পল্টন,ঢাকা
৬ ডিসেম্বর
রাত ৮.২৪

টুং…

সাউন্ড শুনেই মোবাইল নিয়ে মেসেজ দেখি!

ফলাফল ঘোষিত হলো।আর আমি সুযোগ পেলাম ১৫০ তম মিটআপে।

মোবাইলে টেক্সট এলো আর ওই মেসেজ টা ঠিক এরকম ছিলো—

You are selected…

আহা!কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!

মহাখালী,ঢাকা
১৭ ডিসেম্বর
রাত ৯.৪৫

যেহেতু সিলেট থেকে আমাদের প্রোগ্রাম শুরু ওই হিসেবে আমাদের সবাইকে সিলেটের প্রাণকেন্দ্রে (জিন্দাবাজার) পানসী নামক রেস্টুরেন্টে রিপোর্ট করতে হবে ১৮ তারিখ সকাল ৭.৩০।

ওই হিসেবে নাইট কোচে যেতে হবে সিলেট।আর বাস/ট্রেন/বিমানে যাওয়ার সুযোগ আছে।আর মোটামুটি টিকেট ম্যানেজ করা আর রাতে বের হওয়া নিয়ে একটু ফ্রাস্ট্রেশনে ছিলাম।

তবে সব সমস্যার সমাধান হয় ১৫ তারিখে দেখা শোভন ভাইয়ের পোষ্টের মাধ্যেমে।ঢাকা থেকে যারা যাবে তারা একসাথে একই বাসে যেতে পারবে।আর সেই পোষ্ট দেখেই কনফার্ম করি আমার টিকেটও।

ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ প্যারা নিয়ে টিকেট কেটে আমাদের সময় মত সিলেট পৌঁছানোর জন্য।

*মিটআপের আগের ফ্ল্যাশব্যাক শেষ।এখন ১৫০ এর ব্যবচ্ছেদ করি

কদমতলী,সিলেট
১৮ ডিসেম্বর
সকাল ৫.১৮

নামেন,নামেন…
একটু শোরগোল হচ্ছে…

আধো ঘুম থেকে চোখ খুলে নিজেকে পাই বাসে আর দেখি গন্তব্য পৌঁছে গেছি।মোটামুটি অনেকে নেমে গেছে।আর আমি এখনও বসে।একটু নরমাল হয়েই বুঝলাম কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে আমাদের বাস দাঁড়িয়ে।

নামতে হবে।
টিকেটের মেয়াদ শেষ!

[ভোরবেলা পানসী তে PC-সাদ্দাম]

পানসী, জিন্দাবাজার (সিলেট)
১৮ ডিসেম্বর
সকাল ৫.৪৫

শীতের কুয়াশা বেধ করে কদমতলী থেকে পানসীর উদ্দেশ্য আমাদের লেগুনা চলছে।

গায়ে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও শীতের কারণে দাঁড়াতে পারছিলাম না। (“কারণে” শব্দটির পরিবর্তে অন্য কিছু পড়ুন)।তখন তাপমাত্রা ছিলো ১১° সেলসিয়াস। বুঝুন ঠেলা!

তবুও লেগুনা ছেড়ে নামি পানসী রেস্টুরেন্টে।যেখানে সবাই এসে জড়ো হবে সারা দেশ থেকে।

আমারা ঢাকা থেকে যারা যাই তখনও কেউ আসেনি।আমরাই রিপোর্টিং টাইমের দেড় ঘন্টা আগে পৌঁছাই।

মোটামুটি স্ট্যাবল হয়ে।ব্রাশ টা করে নেয় সবাই।এবার খাওয়ার পালা।

পানসী,জিন্দাবাজার
১৮ ডিসেম্বর
সকাল ৬.৩৬

ধোঁয়া উঠছিলো…

গরম ধোঁয়ার ভাপ লাগছিলো মুখে…
বেশ ভালো একটা সুগন্ধ পাচ্ছি…

বলছিলাম আঁখনির কথা।এই খাবারটাই সকালের নাস্তা হিসেবে খাই।আঁখনি মোটামুটি আমাদের সকলের চেনা তেহারীর মত।তবে বিশেষ কিছু দিক আছে।যা হয়ত লিখায় ফুটিয়ে তুলতে পারবো না।

আঁখনির সুগন্ধ টাই বিশেষ মনে হয়। কেমন জানি একটা মাতাল করা ঘ্রাণ!

আর সাথে সালাদ হিসেবে দেওয়া লেবু তো এককথায় মাইন্ড ব্লোয়িং!

[এই সেই সুগন্ধি ভরা আঁখনি]

চৌহাট্টা মোড়,জিন্দাবাজার

১৮ ডিসেম্বর

সকাল ৮.২০

কুয়াশা ভালোই ছিলো।
যত যাই ছিলো।আমরা ঠিকই মোড়ে পৌঁছি আর অপেক্ষা রত বাসে চেপে বসি।

পানসী থেকে প্রায় ১ কিলো মত হাঁটা পথ চৌহাট্টা মোড় পর্যন্ত।ওখান পর্যন্ত যেতে যেতে সিলেট শহর দেখি,ছবি তুলি,ম্যাপে কন্ট্রিবিউট করি।আমি কন্ট্রিবিউট করেছিলাম মেহেদী ভাইয়ের সাথে।

যাইহোক,বাসে উঠার কিছু সময় পরই বাস সিলেট ছাড়ার জন্য চালু হয়।

গন্তব্য—জাফলং (দ্যা বিউটি কুইন অব সিলেট)

হরিপুর,সিলেট
১৮ ডিসেম্বর
সকাল ৯.১৬

ধপাধপ…

সবাই নেমে যায় বাস থেকে।হরিপুরে চা ব্রেক দেওয়া হয়েছিলো।

আর সেই শুরু থেকে মাথায় আসা চিন্তা আবার মাথায় টুং করে উঠলো।

সাত পাঁচ না ভেবে বাসের ছাদে উঠে বসি।আমার দেখাদেখি আরও কয়েক ভাই উঠে।ওই বাসের উপরে শীত আর কাঁপুনি আর ঘন্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিতে চলা বাস।

সাথে দুপাশের ধুঁ ধুঁ দৃষ্টিসীমায় তামাবিলের সৌন্দর্য।উঁচু রাস্তার দুপাশের গাছ।বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ!

জাস্ট ফিল ইট…

এককথায় অনবদ্য একটা ফিলিংস। যা হয়ত কখনও পেতাম না যদি না পেতাম এই এক শূন্য পাঁচে সুযোগ না পেলে!

[এক ফ্রেমে গোয়াইন নদী]

জাফলং, সিলেট
১৮ ডিসেম্বর
সকাল ১১.২০

দুপাশে পাহাড়…
কুয়াশার চাদের মোড়ানো জাফলং এর পাহাড়…
দূরের ভারতের ডাউকি বাজার…

সবমিলিয়ে এক অপার্থিব পরিবেশ।
আর এগুলো দৃষ্টি সীমায় আসে বাস থেকে যখন নামি তখনই।

অদ্ভুত এক ভালো লাগার রেশ সৃষ্টি হলো মনে।নিজের ভিতরেই ভালোলাগাটা কাজ করছিলো।তা বলে বুঝানোর নয় যদিও।

নেমেই ফ্রেশ হই।হোটেলে নিজেদের ব্যাগ রাখি।ও সবাই নদীতে গোসল করা ও জাফলং সংগ্রাম পুঞ্জীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নেই।

[জাফলং!সেতো পাথরে মোড়ানো নদীর নগর!]

গন্তব্য —গোয়াইন নদী ও খাসিয়া পুঞ্জী

গোয়াইন নদী,জাফলং
ডিসেম্বর ১৮
দুপুর ১২.১৬

হালকা নীল জলরাশি,
সাদা পাথর,
রঙিন পাথর,
লাল পাথর,
বিস্তৃণ বালুজাগা চর…

গোয়াইন নদী,
হিম-শীতল বরফগলা পানি,
হালকা রোদের আঁচ…

তারমধ্য আপনি হালকা তপ্ত বালুর বুকে হেঁটে চলছেন হালকা নীল স্বচ্ছ নদীর দিকে।নদীর পাড় ষেঁষে পাহাড়।এপারেও ওপারেও।…

চিন্তা করতেই ভালো লাগে এগুলো।আর মনে হয় ছবির দৃশ্যপট কিংবা হয়ত কোনো কাল্পনিক বিষয়।কিন্তু সত্যিই প্রকৃতিটা এমন।

বলছিলাম জাফলং এর গোয়াইন নদীর কথা।ঠিক এমনই প্রকৃতি তার মায়া নিয়ে সেজে আছে।

যদিও লিখায় ফুটিয়ে তুলা সম্ভব না…
দেখে আসলেই বুঝবেন…

ওপারে ভারতের সীমান্ত রেখা।এপারে গোয়াইন নদী।

যাইহোক,আমাদের লোকাল গাইড কমিউনিটির সবাইকে নদীর মাঝে পাই।তবে শুকানো নদী।শুধুই বালি আর পাথর আশে পাশে।

ওখানে আমরা যা যা করি—

➤সবাই মিলে গ্রুফ ছবি তুলি নদীতে নেমে।
➤নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলি।
➤ড্রোন দিয়ে সবাই বৃত্তাকারে ছবি তুলি।
➤কায়াকিং করে অনেকে আর আমি ছবি তুলে কায়াকে বসে।

আর এভাবেই কখন যেনও একঘন্টা চলে গিয়েছিলো।এদিকে নামাজের সময় হয়ে যায়।আর আমাদের গন্তব্য ঠিক করি খাসিয়া পুঞ্জী।ওখানে মসজিদ থাকায় আমরা ওখানেই নামাজ আদায় করবো ঠিক করি।

[গোয়াইন নদীতে বাংলাদেশী পতাকা বাহী নৌকা]

খাসিয়াপুঞ্জী,জাফলং
ডিসেম্বর ১৮
দুপুর ১.১০

নামাজ আদায় করে আমরা আসি খাসিয়াপুঞ্জী বাজার।বাজার বলতে বেশকিছু টিনশেডের ঘরের মত।বাজার আর সবার বাড়ি মোটামুটি পাশাপাশি।আর এখানে আমরা হালকা নাস্তা করি সবাই।

এর মাঝে পুরো খাসিয়াপুঞ্জী দেখা হয়ে যায় আমার। তাদের জীবনযাত্রা।তাদের কাজ তাদের বসবাসের পদ্ধতি থেকে শুরু করে উপাসনালয় গুলোও দেখা হয়।পাড়ার মধ্য দিয়ে হেঁটে সব দেখি।আর অবাক হই।মাথায় শুধু একটাই কথা হলো—“জীবন যেখানে সংগ্রাম”

অনেক হাঁটা আর ক্লান্তির কারণে প্রায় অমৃতসম মনে হয় তখন হালকা নাস্তা।আর নাস্তা করতে করতে নতুন গন্তব্য ঠিক করি।

[পাথরের সমুদ্রে আমি]

[সীমান্ত পিলার,ওপার ভারত এপার বাংলাদেশ]

[স্থানীয় লোকজ শিল্প,কারুকার্য গুলো যেনও সৌন্দর্যের আঁধার]

[স্থানীয় মানুষদের তৈরি আচার]

গন্তব্য -সংগ্রামপুঞ্জী ঝর্ণা।

সংগ্রামপুঞ্জী পাড়া,জাফলং
ডিসেম্বর ১৮
দুপুর ২.০৬

আহা!
কত সুপারি,কত পান…

পান আর সুপারি গাছের এ এক অদ্ভুত মিলন!

সংগ্রাম পুঞ্জী পাড়া হয়ে আমাদের সব লোকাল গাইডরা হাঁটছি।

রাস্তাটা এত সুন্দর হবে তা কল্পনারও বাইরে পাকা রাস্তাটা যদিও ছোট।কিন্তু রাস্তাটার দু পাশে কাটাতার ও তার ভিতরে গুছানো জঙ্গলের মত।

গুছানো এজন্যই বলেছি যে, ওখানে পান আর সুপারি গাছ ও অন্যান্য গাছ মিলিয়ে যে সৌন্দর্যের মিল-বন্ধুন সৃষ্টি করেছে তার কথা বলে বুঝানো যাবে না!

প্রায় এক কিলো মত রাস্তা পাড়ি দিই আমরা।ওখানে পুরো পথটাই এমন।ভালো লাগতে বাধ্য আপনার।

ইট পাথরের শহরের কোলাহলের বাইরে এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখলে নিজের বুকের ভিতর অজান্তেই একটা ভালো লাগা সৃষ্টি হবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি একথা।

রাস্তার একবারে মাথায় চলে আসি।কথামত ঝর্ণা দেখবো এ চিন্তা মাথায় ছিলো।তবে ঘূর্ণাক্ষরেও মাথায় আসেনি এখন শুকনো মৌসুম ঝর্ণা থাকবে না।

ঝর্ণা তো পরের কথা।নদীতেই পানি নেই।ঝর্ণাতে পানি আসবে কোথেকে।

একটু হতাশ হলেও ওখানে ভালোই লাগছিলো।অনেক অনেক সাদা পাথরের মাঝে ভালো না লাগার কোনো সুযোগ ই নেই।

সংগ্রামপুঞ্জীতে যা যা করি—

➤সকল লোকাল গাইডরা গ্রুফ ছবি তুলি।
➤সবাই যার যার মত ছবি তুলে ও এনজয় করে।
➤ড্রোন ফুটেজ নেয়।

মোটামুটি আবার ফিরতি পথ ধরি সবশেষে।এ পর্যায়ে নৌ ভ্রমণ করি আমরা।আর নৌভ্রমণ সবার ই ভালো লাগে।ইঞ্জিন বোটে করে গোয়াইন নদীতে আমরা সবাই এপার থেকে ওপারে যাই।প্রায় মিনিট পনের আমরা বোটে থাকি।

নদীতে থাকাকালীন সময় ওপারে ভারতের মানুষদের দেখি।তাদের আর নৌকার দূরত্ব ছিলো মোটামুটি ১০ হাত।

এখানেই মিলন ঘটে দুটি দেশের।যাকে বলে নো-ম্যানস ল্যান্ড!

সব শেষ।
ফিরছি।
বর্ডার ঘেষে।ওপারে বিএসএফ।
এপারে বিজিবি।

হাঁটাপথে হাঁটছি আমরা।
সীমান্ত পিলারের ওপারে কেউ যাচ্ছে না।

আর কোনো গন্তব্য নেই।ফিরছি সবাই রিসোর্টে।ক্লান্ত ছিলাম মোটামুটি। ক্ষুধাও ছিলো বেশ।তবুও ভালো লাগছিলো সব।

গন্তব্য -গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট।

[সংগ্রাম পুঞ্জীর সবুজ ছায়ার পথ]

[সত্যিকারে দেখতে এর থেকেও বেশি সুন্দর]

গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট,জাফলং
ডিসেম্বর ১৮
বিকেল ৩.২০

রিসোর্টে আসলো সবাই।
অনেকে ফ্রেশ হলো কেউ গোসল সেরে নিলো।

এবার খাবার পালা।
ক্লান্তি থাকায় মোটামুটি সবাই গ্রোগ্রাসে গিললো দুপুরের খাবার।আমিও বেশ তৃপ্তি সহকারেই খেয়েছি।

খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম।কিন্তু ডাক পড়লো।তাঁবু টানাবে তাই।আর উঠে গিয়ে তাঁবু টানানো দেখতে গিয়েছি।

তাবু গুলো বেশ বড় বড় ছিলো।বড় গুলো তিনজন থাকার মত।আর ছোট গুলো ২ জন থাকার মত।

তাঁবু টানানো শেষ করতে করতে মাগরবিবের সময় হয় প্রায়।এদিকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পফায়ার ও প্রশ্ন-উত্তর পর্বের প্রস্তুতি চলতে থাকে।

এদিকে শীতের প্রকোপ ও বাড়তে থাকবে সবাই ভারী জামা-কাপড় চাপিয়েছে শরীরে।আমিও চাপিয়েছি। কিন্তু তাতে কি?

শীত তো পড়বেই।
তাপমাত্রা তখন ১৭° সেলসিয়াস…
ক্রমাগত কমছে…!!

[তাঁবু গুলো এভাবেই টানানো হয়]

গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট,জাফলং
ডিসেম্বর ১৮
সন্ধ্যা ৬.৪২

তাপমাত্রা তখন ১৬° ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই।

ধীরে ধীরে কমছে।
শীত বাড়ছে আর কাঁপুনিও।

গায়ে এত কিছু ছাপিয়েও শীত ঠিকই অনুভব করা যাচ্ছিলো।

এর মধ্য কিছু উদ্দ্যেমী ভাই ক্যাম্পফায়ারের আগুন জ্বালানোর জন্য লাড়কি জড়ো করে ফেলল।আর কিছুক্ষণ পরই আলোয় আলোকিত হয়ে গেল চারপাশ।আর শীতের প্রকোপ ও কমে এলো।

আগুনের চারপাশে চেয়ারে সবাই গোল হয়ে বসলো।আর শুরু হলো ম্যাপিং কন্ট্রিবিউট নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্ব।এই সময় বাংলাদেশ লোকাল গাইডের কোর-টিম মেম্বার টা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন।

মোটামুটি সব ধরণের প্রশ্নই আসে।আর আসে সব প্রশ্নের উত্তরও।ক্যাম্পফায়ার চলছে আর এদিকে চলছে আমাদের প্রশ্ন উত্তর পর্বও।

মাঝে মাঝে অবশ্য নাস্তা এসেছে।লাল চা আর পিঠা।

পরিবেশ টা ঠিক এমন।

ক্যাম্পাফায়ার…
শীত…
লাল চা…

সব মিলিয়ে বেস্ট একটা সময়।এটা সবারই ভালো লাগবে।আর যে কখনও ক্যাম্পফায়ার করেনি তার তো আরও বেশি ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ নিন কোর টিম!
এভাবে আমাদের প্রোগ্রামটি সৌন্দর্য মন্ডিত করার জন্য!

[আগুন কে ঘিরে সবাই]

গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট
ডিসেম্বর ১৮
রাত ৮.২০

প্রজেকশন স্ক্রিনে মুভি দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে লিয়ন ভাই।আমরা ক’জন বসে আছি আগুনের পাশে।আর কিছুক্ষণ পর মুভি চালু হলো।

প্রথমে Tomb Rider দেয়।পরে অনেকগুলো চেঞ্জ করে বিখ্যাত মুভি Zootopia দেয়। আর তাই বসে বসে দেখি অনেক্ক্ষণ। যদিও আগে দেখা মুভি কিন্তু অনেকের সাথে বসে দেখার একটা আনন্দ আছে।

আর বাইরে শীতে আগুনোর পাশে বসে মুভি দেখার মজাটা তো আলাদা।

আমরা যখন মুভি দেখছি তখন অন্য পাশে চলছিলো বার বি কিউ পার্টির তোড়জোড়।কারণ মুভি শেষেই হবে বার বি কিউ পার্টি।

[এটাই মঞ্চ,এখানেই দেখানো হয় মুভি]

গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট, জাফলং
ডিসেম্বর ১৮
রাত ১০.৩৫

বার-বি-কিউ!
আগেই মোটামুটি রেডি করা ছিলো।আর এখন রেডি করাগুলোকেই গরম করে দিচ্ছে।

গরম বলতে গরম কয়লার আঁচ থেকেই নিয়ে দিচ্ছে।পরোটা,কাবাব আর সাথে চুঙ্গা পিঠা ও খিরসা!!

সবগুলো নিয়ে বললে লিখা শেষ করা যাবেনা।সবগুলোই এককথায় অসম্ভব ভালো হয়েছে।

বিশেষ করে কাবাবটা।গরম গরম ওই আগুনেন সাথে বসে ওটা খাওয়ার মজা শুধুমাত্র ওই সময় থাকলেই বুঝা যায়।

এটলিস্ট লিখে তো বুঝানো সম্ভব না।

খাওয়া শেষে মোটামুটি সবাই বিশ্রামের প্রস্তুতি নিবে এমনই ভাব।তবে এখনও শেষ হয়নি।শুরু হলো গানের আসর!

সবাই মিলে সম্মলিত কন্ঠে গাইলো।সবচেয়ে বেশি ভালো হয়েছে আবির ভাইয়ের খালি গলায় গানটি।ওটাতো সবাই মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনছিলো।।

সত্যিই উনার গলা অনেক অনেক ভালো!
ড্রোন ফুটেজ গুলোও ভালো!

তাপমাত্রা আরও কমলো।

তখন প্রায় ১৫° সেলসিয়াস!

[আহা!বার বি কিউ!]

গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট,জাফলং
ডিসেম্বর ১৯
রাত ১২.১৫

জীবনের সব কিছু প্রথমই বিশেষ হয়ে থাকে।

তেমনি আমার এই প্রথম তাঁবুতে থাকাও বিশেষ।

তাপমাত্রা তখন ১৫ ডিগ্রিতে।
ওয়েদার ফোরকাস্টে দেখলাম ভোর নাগাদ প্রায় ৯ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে তাপমাত্রা।

ভয়ের মাত্রাও বাড়লো।না জানি তাঁবুতেই জমে যাই!!

সব ভয় উপেক্ষা করে তাঁবুতে থাকার ই মনস্থির করি।

ঝামেলা হবে বলে ভারী বেডিং নেইনি।তাই একটু ঝামেলা লাগছিলো।না জানি শীতে জমে যাই।

তাঁবু সবগুলো তখনই খাটানো হয়নি।

তাই তখন শেষ সময়ে তাঁবু গুলো ঠিক করছিলো।ওখানে ছিলাম তাঁবু ঠিক করতে সাহায্যে ও করেছি।

অবশেষে তাঁবু তাড়ালো আর আমি সুযোগ পেলাম মেহেদী ভাইয়ের সাথে থাকার।

ঢুকলাম তাবুর ভিতর…
না জানি কেমন লাগে…
শীত লাগবে কিনা?
ঠান্ডা বাতাস লাগবে কিনা?

এসব ভাবতে ভাবতে তাঁবু ঢুকে পড়ি।আর হালকা বেডিং গুলো বিছিয়ে ফেলি।আর শোয়ার বন্দোবস্ত করি।

শুয়ে গেলাম…

তাবুর চেইন লাগিয়ে অবাক হলাম।

হবোই বা না কেনও?
তাঁবুর ভেতর আর বাইরের তাপমাত্রা বেশ তফাৎ।

আর ভেতরে ঠান্ডা বাতাস ঠুকছে না।

ততক্ষণে তাঁবুর বাইরে আগুন জ্বালানো হলো।আগুন কে কেন্দ্র করে গান বাজিয়ে উল্লাস করা হচ্ছে। আর চলছিলো রাতের তাঁবুর ফটোসেশন।

প্রতিটি তাঁবুতে আলো জ্বালিয়ে করা হলো এই ফটোসেশন।

আগুনের পাশে বসে বেশ রাত পর্যন্ত সবাই আনন্দ করে।আর এগুলো সবগুলোই আমার সুখকর স্মৃতি হিসেবে মাথায় ঠাঁই করে নেই।

সবশেষ!
সময় ফুরোলো!
চোখ জুড়ালো!

ক্লান্তি শেষে রাত ডাকছে বিচানায়!
সবার মত আমিও শুয়েছি!
ঘুমালাম!

শুভ রাত্রি জাফলং!!!

আবারও ধন্যাবাদ বাংলাদেশ লোকাল গাইডকে জীবনে এমন একটা সুন্দর রাত উপহার দেওয়ার জন্য।

[আমি যে তাঁবুতে ছিলাম]

গ্রীণ ভিউ রিসোর্ট
ডিসেম্বর ১৯
সকাল ৬.৩৯

শুভ সকাল জাফলং…

ঠক ঠক করে টাইপ করেই ফেসবুকে পোস্ট করে আড়মোড়া ভেঙে উঠে পড়ি ঘুম থেকে।তখন শীত অনেকটা কমেছে।সূয্যিমামা ততক্ষণে উঁকি দিয়েছে পূর্বকোণে…

উঠেই ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
ততক্ষণে সবাই প্রায় উঠে গিয়েছে।আর উঠে যাওয়ায় ওখানে মোটামুটি একটা মিলন মেলার মত হয়ে গেলো।

একটু সাজ সাজ রব পড়ে গেলো।তাঁবু গুছাও। আর রেডি হও।

তাড়াহুড়ো করে সব গুছালাম।তাঁবু যদিও মেহেদী ভাই গুছিয়েছিলো।

একটু পর নাস্তার সময় হবে।

এর আগে আমি একটু বের হলাম।

সকাল বেলার জাফলং,গোয়াইন নদী,ডাউকি (ভারত)কে কেমন লাগে তা দেখার জন্য খুব দ্রুত পায়ে হেঁটে গিয়ে ঘুরে আসি।

সাথে আরও তিনজন লোকাল গাইড ভাই ছিলো যদিও।

মর্নিং ওয়াক শেষে এসে দেখি খাওয়ার পর্ব শুরু।

এই বেলাতেও আঁখনি!

বেশ ভালো হয়েছিলো।

[ঘুম থেকে উঠে তাঁবুর সামনে আমি,মেহেদী ভাই ছবিটি তুলেছেন]

জাফলং জিরো পয়েন্ট,জাফলং
ডিসেম্বর ১৯
সকাল ৮.২৮

রিসোর্টের কাজ শেষ!
সময় শেষ আমাদের।বিদায় জানাবো জাফলং কে।

আর বিদায় বেলায় জাফলং এর স্মৃতি ধরে রাখতে তুলা হয় গ্রুফ ফটো।প্রায় সবাই ই ছিলো ওই ফটো সেশনে।

বাস ততক্ষণে রিসোর্টের গেটের বাইরে।
আমরা ছবি তুলেছি সবাই।

রোদ ততক্ষণে পুরো এসেছে।সূ্র্যমামা তার তাপ দিয়ে সতেজ করছে ঠান্ডা পরিবেশ কে।

বেশ ভালো লাগছিলো।পবিত্র পরিবেশ মনে হয় এটাকেই বলে।

সবহলো শেষ…
ভালো লাগলো বেশ…

এবার যাত্রা হবে লালাখালের উদ্দেশ্য…

গন্তব্য— নীল স্বচ্ছ লালাখাল (বরফ গলা সৌন্দর্যের নদী)

[গ্রীণ ভিউ;সত্যিই সুন্দর একটি রিসোর্ট]

লালাখাল,জাফলং
ডিসেম্বর ১৯
সকাল ১১.১৮

অনেক ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে লালাখালের কাছে এসে পৌঁছেছিলাম যখন তখন ভালোই রোদ পড়ছিলো।

ঝড় ঝাপটা এজন্যই বললাম।রাস্তা বেশ সরু ছিলো।বাস অনুযায়ী রাস্তার সাইজ ছোট ছিলো।তাই কিছুক্ষণ পর পর কোন না কোন কারণে থামতে হয়েছিলো বাসকে।

বাস থেকে নেমেই।সাত পাঁচ না ভেবে এদিক সেদিক না তাকিয়ে নেমে পড়ে সোজা হাঁটা দেই নদীর উদ্দেশ্য।

আর অবশেষে দেখা পাই নীল রাণীর…

মনে খালিই একটা কথাই বেজেছিলো তখন…

কেনও? কেনও? কেনও?

লালাখাল কেনও?
নীলা খাল হয়নি কেনও?

এই প্রশ্নের জবাব পাইনি।পেতে চাই ও না।

তবে সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছি।

স্বচ্চ জলরাশি।আর নীলের মধ্য হারাতে চাইলে এখানে আসাই শ্রেয়।

ততক্ষণে আমাদের দলের সবাই চলে এসেছি নদী ঘাটে।

আমরা নৌকা ঠিক করে সবাই উঠে বসি।
আরেকটি পয়েন্টে আমরা যাবো।

হবে নৌ ভ্রমণ।

হবে লালাখালদেখা।

নদীর মধ্যে থেকে নদী দেখার মধ্য এক অদ্ভুত আনন্দ আছে।

লালাখালেই তা বেশি সত্যি…

চারদিকে পাথুরে ঢাল আর মাঝখানে নীল জলরাশি।
অপার্থিব এক সৌন্দর্যের লীলাখেলা…!!

চা-বাগান, লালাখাল
ডিসেম্বর ১৯
দুপুর ১২.০২

ততক্ষণে আমরা পৌঁছে যাই চা-বাগান পয়েন্টে।

ওখানেই আমাদের লোকাল গাইডরা বৃক্ষরোপণ করেন।

পাশপাশি কায়াকিং করেন সবাই।

আর ড্রোন দিয়ে সবার কায়াকিং এর ফুটেজ নেওয়া হয়।

অনেকেই ওখানে গোসল করে।তবে বরফ গলা পানি হওয়ায় পানি বেশ ঠান্ডা ছিলো।তাই বেশি সময় পানিতে থাকার সুযোগ ছিলো না।

কয়েক পাহাড় পরেই চা-বাগান রয়েছে।

ছোট ছোট পাহাড়ের চা বাগান গুলো যেন সবুজ গালিছা।

এটা বেশি বড় করছি না।এই সৌন্দর্য লিখায় প্রকাশ করা সম্ভব না যদিও।তবে আলাদা পোস্ট করার ইচ্ছে আছে।

প্রায় বিদায়ের বেলা হয়ে এসেছে!

[নীলা খাল!সরি লালাখাল]

নৌকাঘাট,লালাখাল
ডিসেম্বর ১৯
দুপুর ১২.৫৫

যদিও ভিজার ইচ্ছে ছিলো না।কিন্তু কিছুটা ভিজে গিয়েছি।এজন্য চেঞ্জ করতে হয়েছে।অবশ্য এখন আর শীত নেই।

চেঞ্জ করেছি অবশ্য বাসে বসে।আর ততক্ষণে সবাই ফিরে এসেছে।

বাস ছাড়ার সময় হয়েছে।সবার ব্যাগ আন আনুষঙ্গিক সব বাসের ছাদে এবারও রাখা হয়েছে।তবে এবার বেঁধে রাখা হয়েছে।আগেরবার বার বার পড়ে যাচ্ছিলো তাই।

একটু খারাপ লাগছিলো।এত সুন্দন প্রকৃতি ছেড়ে যেতে মন সায় দিচ্ছিলো না।

যদি পারতাম এক দুই দিন থেকে গিয়ে এখানেই নদী আর মানুষের মিলন মেলা দেখতাম!!

পানসী,জিন্দাবাজার
ডিসেম্বর ১৯
বিকেল ৩.০৫

অবশেষে বিকেলের শুরুতে এসে পৌঁছুলাম পানসী রেস্টুরেন্টে।তখন সবার মধ্য ক্লান্তি ছিলো।

সব ক্লান্তি চাপিয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে নেয়।দুপুরের খাবার খেতে হবে সবাইকে।

আর বিদায় নিতে হবে।

সবকিছু শেষে দুপুরের খাবার হলো।আর খাবার শেষে মজার বিষয় হয়।আর তা হলো লটারি!

এক লটারি তে ভাগ্যবান পাবেন ঢাকা-চট্রগ্রাম-ঢাকা এয়ার টিকেট।

আর অনেক উত্তেজনা শেষে পেয়ে যায় সিলেটের এক ভাই। উনিই নুরেন এয়ার এভিয়েশনের অফার করা এয়ার টিকেটটি পেয়ে যায়।

সব হলো শেষ…
এখন বিদায়ের বেলা…

খালি মাথায় বাজছিলো কিছু কথা…
যেত দিতে নাহি চাই,তবুও যেতে দিতে হয়…

কমিউনিটি টা আমার কাছে একটা পরিবারের মত হয়ে উঠেছিলো।সবার আন্তরিকতা আর ভালোবাসায় গড়ে উঠা কমিউনিটির প্রতিটি বিষয়।আর তা নিয়েই দেড় দিন কাটাই মিটআপে।বিদায় দিতে কষ্ট তো লাগবেই।

পানসী,জিন্দাবাজার
ডিসেম্বর ১৯
বিকাল ৪.৫৬

সবাই সবার সাথে মোলাকাত করছে।
সবাই যে যার গন্তব্য যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আমার কষ্ট হচ্ছিলো।।

কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে সবার সাথে।কয়েকজনের সাথে সেলফি তুলি।চায়ের দাওয়া নিই।

তার মধ্য সজল ভাইয়া,মেহেদী ভাইয়া রয়েছে।

এরই মধ্য পানসী ছেড়েছে অনেকে পানসী প্রাঙ্গন আস্তে আস্তে খালি হতে শুরু করল।আর ঘন্টা খানেক আগেই এই পানসী পাঙ্গন মুখরিত ছিলো লোকাল গাইডদের দ্বারা…

এখনই বিদায়ের সময়।এই দেড় দিনের বিদায়ের সময়।

সবাই যে যার পথে…

শেষটা বেশ হলো…

!!!

[প্রিয় ভাইরা ও আমি ]

শেষ কিছু কথা—

সম্পূ্ণ প্রোগ্রামটির পিছনে অনেক মানুষের হাত আছে।সবাই যে যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ শ্রম দিয়েছেন।আমি নির্দিষ্ট কারও নাম মেনশন করছি না যদিও।

তবে সব ভাইয়াদের জন্য রয়েছে অগাধ দোয়া ও ভালোবাসা।

এত সুন্দর একটি প্রোগ্রাম সফল করার জন্য।আমার জীবনের একটা নতুন অভিজ্ঞতার মাইল ফলক যুক্ত করে দেওয়ার জন্য।

আর সবকিছুর জন্য ভালোবাসা প্রাপ্য আমাদের লোকাল গাইড কমিউনিটি।

ভালোবাসার কমিউটি।

বাংলাদেশ লোকাল গাইড।

পথ দেখি, পথ দেখাই…

লগআউট করছি আমি—শাহাদাত হোসেন
লোকাল গাইড -লেভেল ৮
পল্টন,ঢাকা
রাত-১২.৩৩
তাপমাত্রা ১৯° সেলসিয়াস

35 Likes

অনেক ভালো লিখেছেন, @shahadat99

5 Likes

লেখাটা ভালো লাগলো

চোখ ভরে ঘুম ও এলো

ধন্যবাদ আপনাকে

@shahadat99 সুন্দর লেখার জন্য।

4 Likes

@shahadat99 বাহ্! চমৎকার ধারাবাহিক বর্ননা। ভালো লিখেছেন। মিটআপের প্রতিটি মূহুর্ত আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

4 Likes

@AbdusSattar

আপনাদের অনুপ্রেরণা পেয়েই লিখি ভাই

2 Likes

অনেক বড় পোষ্ট তাই অনেক সময় নিয়ে পড়ালাম @shahadat99 ভাই। ভালো লিখেছেন। সবকিছু সন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা সামনের মিটাপগুলোতেও আপনাকে আমরা আমাদের মাঝে এভাবেই পাব। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

4 Likes

@MukulR

ভেবেছিলাম কেউ হয়ত পড়বে না।এত বড় বলে।

যাক আপনি পড়েছেন ভাইজান। :innocent:

ভালোবাসা নিন :heart: :fire_engine:

4 Likes

@MdMRahman

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।

1 Like

@sweetnovember99

আপনিও বেশ ভালো লিখেন।

:fire_engine:

1 Like

@shahadat99 great time we spent together. Thanks brother sharing this meet up details post.

3 Likes

কিছু অংশ বাদ গেছে কিছু কিছুটা পড়েছি। এমার দেখা কানেক্টের সব চেয়ে বড় পোস্ট, আপনি এটা ২/৩ পর্বে লিখতে পারতেন, যাই হো পোস্ট লিখতে অনেক কস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে

3 Likes

@Mazharul_BDLG

চেষ্টা করেছি মোটামুটি সব ঘটনা গুলোকে লিপিবদ্ধ করতে।শেষসময়ে একটু ক্লান্তি এসে যাওয়ায় অনেক ডিটেইল স্কিপ করেছি।

আপনার মন্তব্যর জন্য আন্তরিক মোবারক বাদ। :heart:

3 Likes

কি বলবো ভাই অসাধারন লিখেছেন। আপনার লেখা দেখে আমার ও লেখার প্রতি আগ্রহ জেগেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমি আমার ১৫০ তম মিটাপের অভিজ্ঞতা লিখে ফেলবো।

ধন্যবাদ ভাই :hearts: @shahadat99

1 Like

পড়তে পড়তে হারিয়ে গেছিলাম। অতি সুন্দর। ধন্যবাদ

4 Likes

@Bishnu_Modhu

লিখে ফেলুন ভাই।

আপনার লিখার প্রতীক্ষায়।

1 Like

ভালোবাসা নিন ভাইজান

** @abedin2020 **

@shahadat99 অনেক সুন্দর লিখেছেন।

পুরোটা পড়ে মন ভরে গেল।

1 Like

@shahadat99 অনেক সুন্দর লিখেছেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কাহিনী এখানে পড়তে পেলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মিটাপের স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য